মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। জীবনভর মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধেও ছিলেন আপসহীন। দিবসটিতে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। মওলনা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৮৮০ সালে ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর। জীবনের প্রায় পুরো সময় কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। এখান থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন পূঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের। তৎকালীণ আওয়ামী মুসলিমলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাসানী পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির অত্যাচার নীপিড়নের বিরুদ্ধে সবসময় ছিলেন উচ্চকন্ঠ।
মাওলানা ভাসানীকে ইতিহাসের মহাপুরুষ বলে উল্লেখ করেন বিশিষ্ট কবি বুলবুল খান মাহবুব।
ভাসানী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ভাসানীর নাতী মাহমুদুল হক সানু বলেন, সত্যিকার অর্থে উনার অতীত ইতিহাস যদি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা যায় তবে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, এ মুহূর্তে ভাসানীর আদর্শ মেনে চলা খুবই জরুরী।
কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, তার যে রাজনীতি, সাংস্কৃতিক ভাবনা এইসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
শিক্ষা প্রসারেও মাওলানা ভাসানী রেখেছেন বিশেষ ভূমিকা। প্রতিষ্ঠা করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন বলেন, মানবিকতা, সাংস্কৃতিক চেতনা, মুক্তবুদ্ধির চেতনা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে বা আমরা এখন যারা আছি তাদের নিজেদের মাঝে ধারণ করতে হবে।
ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা ।