ভাষা বিভ্রাটের কারণে এক চীনা পর্যটককে দু’সপ্তাহ কাটাতে হলো জার্মানির একটি অভিবাসী হোস্টেলে। চুরির অভিযোগ লেখাতে গিয়ে তিনি ভুলবশত জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করে ফেলেছিলেন!
জার্মান গণমাধ্যমগুলো জানায়, ৩১ বছর বয়সী ওই চীনা নাগরিক জার্মান বা ইংরেজি – দু’টোর কোনো ভাষাই জানেন না। স্টাটগার্ট এলাকায় ওয়ালেট চুরি যাওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে সেটি জানানোর বদলে ভুলে অভিবাসী হিসেবে নিবন্ধন করেন। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং আঙ্গুলের ছাপও নেয়া হয়।
চীনের উত্তরাঞ্চলের অধিবাসী ওই ব্যক্তি খুব শান্তভাবেই নিজের পাসপোর্ট, ভিসা আর আঙ্গুলের ছাপ নিতে দেন। তারপর জুলাইয়ের প্রথম দিকে তাকে অন্য অভিবাসীদের সঙ্গে বাসে করে পাঠিয়ে দেয়া হয় ডর্টমুন্ডের একটি অভিবাসী হোস্টেলে।
পরে হোস্টেলে কর্মরত এক রেডক্রস কর্মী হঠাৎ করেই ভুলটি আবিষ্কার করেন। তবে ততদিনে ওই হোস্টেলে দু’সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি।
ক্রিস্টফ শ্লুয়েটারম্যান নামের ওই রেডক্রস কর্মী জানান, প্রথম থেকেই তার মনে হচ্ছিল, চীনা ব্যক্তিটি অন্যদের থেকে আলাদা এবং খুব অসহায়। এক পর্যায়ে অভিবাসী হোস্টেলের পাশের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে ম্যান্ডারিন ভাষাভাষী এক ব্যক্তিকে ডেকে আনা হয়। সেই ব্যক্তিই চীনা পর্যটকের কথা অনুবাদ করে তার ওয়ালেট চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। আরও জানান, এরপর তার ইতালি ও ফ্রান্স ভ্রমণের কথা রয়েছে।
ওই ব্যক্তির ভিসাতেও কিছু জটিলতা থাকায় তার পরিচয় পেতে আরও সময় লেগেছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের। তবে সব ঝামেলা মিটিয়ে অবশেষে ওই চীনা পর্যটকের অভিবাসনের আবেদনপত্রের প্রসেসিং থামানো সম্ভব হয় এবং তিনি আবার ইউরোপ ভ্রমণে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান।
পর্যটক সাহেব এসব ঝামেলা রাগ না করলেও জার্মানি ত্যাগের আগে শুধু বলেছেন, ‘ইউরোপকে আমি অনেকটাই ভিন্নরকম ভেবেছিলাম!’