সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সহ অন্য আইনজীবীদের মুক্তি দাবীতে মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভনের সামনে এই মানববন্ধন হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সহ এই মামলায় গ্রেফতার অন্য আইনজীবীদের মুক্তি চান।
আজ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের জামিন আবেদনের শুনানি হবে।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপট তৈরি হয়। ৭ মার্চ রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক ৮ মার্চ বেলা ৩ টায় ‘দিনের আলোতে’ ভোট গণনা চাচ্ছিলেন। এ বিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফের ওপর আক্রমণে অনেকেই বহিরাগত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
একপর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সে মামলায় এবারের নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
পরবর্তীতে এই মামলার দুই নম্বর আসামী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। এদিকে এই মামলার এক নম্বর আসামী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
অন্যদিকে এই নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে হামলা-মামলার প্রেক্ষাপটে ৩ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ বাতিল করে তাদের পদ হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই তিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মোঃ জাকির হোসেন, কাজী বশির আহমেদ ও শ্যামা আক্তার। এদের মধ্যে মোঃ জাকির হোসেন ও কাজী বশির আহমেদ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফের করা মামলার আসামী।