ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য কবি সুফিয়া কামাল হলের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। “ছাত্রীদের হলের অভ্যন্তরে দিনের বেলা অথবা রাতের বেলা কখনোই অশালীন পোশাক (সালোয়ারের ওপর গেঞ্জি) পরে ঘোরাফেরা অথবা হল অফিসে কাজের জন্য প্রবেশ করা যাবে না। অন্যথায় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য হল কর্তৃপক্ষ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”- এরকম ভাষায় টাইপ করা একটি নোটিশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিতর্ক শুরু হয়। পরে অবশ্য হল ‘অশালীন পোশাক’ এর জায়গায় ‘যথাযথ পোশাক’ লেখা নোটিশ আসে। হল কর্তৃপক্ষের সই ছাড়া ওই নোটিশ আদৌ হল কর্তৃপক্ষের কিনা, তা নিয়েও একপক্ষ সোচ্চার। তবে সই ছাড়াও যে হল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দেয়, তা স্বীকার করেছেন হলের প্রভোস্ট ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। হলের ভেতরে কয়েকজন ছাত্রীর সাথে দায়িত্বশীলদের কোন এক ঘটনার পরে ওই নোটিশ দেয়া হয়েছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। মেয়েদের হলের ভেতরের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট। ঘটনা যাই হোক বা যে প্রেক্ষাপটই তৈরি হোক না কেন, এ ধরণের নোটিশ দেবার আগে তা সর্ম্পকে ভাবা উচিত বলে আমরা মনে করি। নোটিশে যে পোশাকের কথা উল্লেখ আছে, তা একটি ছাত্রী হলের মতো নিয়ন্ত্রিত জায়গায় খুবই স্বাভাবিক বলে আমরা মনে করি। অহেতুক কোন ধরণের বিতর্ক তৈরি করতে পারে বা কোন সিদ্ধান্ত কোন ধরণের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে কিনা তা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষসহ এ ধরণের প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বশীলরা বুঝে ভবিষ্যতে পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের আশাবাদ।