বরগুনায় প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে হত্যার মতো ঘটনা দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। বগুড়া-৬ আসনে জি এম সিরাজ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বরগুনায় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। প্রতিদিন পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারপতর হচ্ছে। এর পরও যদি এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেন তারা (সরকারের নেতারা) তাহলে বুঝতে হবে তারা সব কিছুকে আড়াল করতে চাইছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সবক্ষেত্রে দলীয়করণ করার কারণে তা হচ্ছে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করার কারণে।
বিশ্বজিৎ হত্যার সাথে বরগুনার কোনো যোগসূত্র দেখছেন কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই যোগসূত্র পাওয়া যাবে। যখন কোনো অপরাধী দলীয়করণে মুক্ত হয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য অপরাধী দলীয় ছত্রছায়ায় গিয়ে অপরাধ করার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে যতো হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ হয়েছে, এবং অতি সম্প্রতি যতো ধর্ষণ ও হত্যা হলো এটার কোনো নজির আছে বলে আমাদের জানা নাই।
‘যেহেতু আইনের শাসন, জবাবদিহিতা মূলক সরকার নেই, জনগণ এই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, পার্লামেন্টে জনগণের সরকার নেই সে কারণে এই প্রবণতাগুলো বাড়ছে। এখানে ন্যায় বিচার নেই, বিচারহীনতা আছে। গত এক দশকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ এমনকি বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই হত্যা ধর্ষণ বাড়বে।’
এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ ঘোষিত গতকালের জোট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা আছে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করার। গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যেকোনো উদ্যোগকেই আমরা স্বাগত জানাই।