ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘৭ই মার্চ ভবন’ উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে সচিবালয় থেকে রোকেয়া হল পর্যন্ত ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ আলপনা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকেন্দ্রিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও একমাত্র রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল সংগঠনের যুথবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রয়াসের অংশ হিসেবে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে শিক্ষার্থীদের এ প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দায় মেটানোর জন্য ২৯ আগস্ট এই সংসদ গঠন হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ সম্পর্কে অবহিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ। পরবর্তীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন উপলক্ষে সচিবালয় থেকে রোকেয়া হল পর্যন্ত ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ এবং ৭ ফুট প্রস্থ আলপনা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি সানোয়ারুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি আসিফ হোসাইন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জয়ধ্বনির সভাপতি সাব্বির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি আমাদের সকলের জন্য গর্বের, আনন্দের ও অহংকারের। তার এই আগমনকে আমরা তার হৃদয় মন্দিরে একটি চিরস্মরণীয় জায়গায় প্রতিস্থাপিত করে দিতে চাই।
‘আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের রাস্তা হয়ে রোকেয়া হলে আসবেন ৭ই মার্চ ভবন উদ্বোধন করতে। তাই আমরা চাই, তার আগমনের এই পুরো পথ আমাদের হৃদ মাঝারে থাকা ভালোবাসার সবটুকু রঙ মিশিয়ে আলপনা করে তার আগমনের পথকে রঙিন করে তুলতে। সে লক্ষে আমাদের সংগঠনের সবাই ৩১ আগস্ট সারাদিন তার আগমনের এই পথকে রঙিন করে তুলতে কাজ করবো। আমরা মনে প্রাণে লালন করি আমাদের এই আলপনা তার মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিবে।’
সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদে অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন আসতে চাইলে কী করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী, অরাজকতা সৃষ্টিকারী ছাড়া সবাইকে এ সংসদে স্বাগত জানানো হবে।
অতীতে ছাত্রলীগ এমন ধরনের সংসদ করে প্রভাব বিস্তার করেছে, এ সংসদও তেমন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, আমরা কখনও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করব না। এই প্লাটফর্মে একেক সময় একেক সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে। আমাদের ধারাবাহিক কোন কার্যক্রম থাকবে না, বিভিন্ন সময়ে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা কর্মসূচি নির্ধারণ করবো।
এর আগে ছাত্রলীগ কর্তৃক কিছু ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়েছিল, তাদের বর্তমানে কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না; এ সংসদও কি সেই পথেই হাঁটবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, এ সংসদ মাত্রই নবযাত্রা শুরু করেছে। আমাদের এ পথচলা দীর্ঘ হবে বলে আশা করছি।