কবি শেখ সাদী (রহঃ) যথার্থই বলেছেন
যিনি সাধনায় পূর্নতার শেষ প্রান্তে পৌঁছেছেন
যাঁর সৌন্দর্যের আলোকে দূর হয়ে গেছে অন্ধকার
যাঁর আচার-ব্যবহার ছিল সৌন্দর্যের আকড়
তাঁর এবং তাঁর বংশধরগনের উপর সালাম।
নূর নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ পথ প্রদর্শক। তিনি গুনাহগার বান্দার জন্য একমাত্র সাহায্যকারী, সৃষ্টি জগতের শান্তি, বিশ্ব জগতের মালিক এবং সর্বপরি, আল্লাহতালার নিকটতম বন্ধু। তিনি আব্দুল্লাহর পুত্র, আল্লাহতাআলার বিশিষ্ট সৃজিত নূরের জ্যোতি।
তিনি আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্ট প্রতিশ্রুত পয়গম্বর। তার জবানীতেই ধ্বনিত হয়, আউয়ালা মা খালাকাল্লাহু নূরী। অর্থ হচ্ছে – সর্বপ্রথমই আল্লাহপাক যা সৃষ্টি করেন, তা হচ্ছে আমার নূর। এই হাদিস থেকে সুষ্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এই পৃথিবীতে মানব হিসাবে আগমনের বহু আগেই নূর হয়ে অস্তিত্বে বিরাজ করছিলেন। তাঁর নূরেই আলোকিত হয়েছে এই ধরাধাম আর উদ্ভসিত হয়েছে এই মানবজাতি।
অথচ রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর আগমনের দিনকে অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়ালকে উৎসব হিসেবে পালন করা হলে তার বিপক্ষে নানা ধরনের অপব্যাখ্যা প্রদান করে থাকে তথাকথিত নামধারী ইসলামী বিশেষজ্ঞগণ। কেননা তাদের ধারণা হলো, পবিত্র ঈদ মিলাদুন্নবী হলো অন্যান্য ধর্ম যেমন – হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের জন্মাষ্টমী বা বৌদ্ধপূর্ণিমা বা খ্রিস্টমাসের মতো অনুষ্ঠানাদি। বরং একসময় তাঁর এই পৃথিবীতে থেকে বিদায়ের দিন হিসেবে সিরাতুন্নবী পালন করে থাকে শোক দিবস হিসেবে।
কেননা তারা মনে করেন, রাসুল হলেন রক্তমাংসে গড়া আমাদের মতই মানুষ। তাদের মতে তিনি যেহেতু এই পৃথিবীতে আগমন করেছেন মানবাকারে, সুতরাং তার আগমন উপলক্ষে যে ঈদে-মিলাদুন্নবী পালন করা হয় তা মুসলমান ধর্মের বিরোধী।
কিন্তু মানুষ যদি তার সৃষ্টির রহস্যের দিকে দৃষ্টিপাত করে তবে নবীজীর আগমনের দিনটি কিংবা তিনি কি মানব রূপী মানুষ না নূরের প্রতিচ্ছবি তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মানুষ সৃষ্টিকর্তার সুন্দরতম সৃষ্টি। মানুষের এই ধরা পৃষ্ঠে আগমনের ঘটনার দিকে লক্ষ্য করলে প্রথমেই যে প্রশ্ন জাগে তা হচ্ছে কেন ও কিভাবে মানুষ এ পৃথিবীতে এসেছে? এর স্পষ্ট জবাব নেতিবাচক। অথাৎ এ ধরা পৃষ্ঠে মানুষের আগমনের ব্যাপারে তার স্বীয় কোন ইচ্ছা, প্রচেষ্টা বা ক্ষমতা ছিল না।
পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো মহান স্রষ্টার প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব পালন। পৃথিবীতে মানবের আগমন এবং মানব সৃষ্টির দিকে লক্ষ্য করলে তা বুঝতে সহজ হবে।
প্রথমেই হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করার সময় আল্লাহতালা ফেরেশতাদের বলেন – ‘নিশ্চয়ই আমি দুনিযার বুকে আমার প্রতিনিধি প্রেরণ করব। (সূরা বাক্বারা, আয়াত ৩০)।
সুতরাং আদি মানব আদম (আঃ)এর পৃথিবীতে আগমন হয়েছে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হিসাবে। স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য উদঘাটন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে স্রষ্টাকে ও তাঁর সৃষ্টিকে জানার ইচ্ছায় পবিত্র কোরআন ও হাদীস পর্যালোচনা করলে রাসূলুল্লাহ (দঃ)এর আগমনের মহান তাৎপর্য ও নূরে মোহাম্মদ বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়।
আল্লাহ্তায়ালা গুপ্ত ছিলেন, প্রকাশিত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। নিজেকে জাহেরী রূপ দিলেন, তাই স্বীয় অস্তিত্ব হতে অন্য এক অস্তিত্বের সৃষ্টি করলেন। আল্লাহর নূর থেকে নবীর নূরের সৃষ্টি এটাই নূরে মুহাম্মদী’ বা আল্লাহর মৌল স্বত্তা। স্বীয় সত্ত্বা থেকে নূরে মোহাম্মদী সৃষ্টি এবং সমগ্র সৃষ্টিই নূরে মুহাম্মদীর বহিঃপ্রকাশ। এই নূরে মুহাম্মদীর বিশেষ বিকাশের উপর নির্ভর করে সৃষ্টি রহস্যের মর্ম উদঘাটন করতে হবে।
যেহেতু মূলতই গুপ্ত, সেহেতু নূরে মুহাম্মদীও গুপ্ত তবে তিনি আদি, অন্ত, ব্যক্ত ও অব্যক্ত।
হাদীসে কুদসিতে নবীজী এরশাদ করেন, ওয়া খলাকাল্লাহু নূরী আনামিন নূরিল্লাহি কুল্লি শাইয়িমমিন নূর।’ অর্থ হচ্ছে – ‘আমি আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি আর সমস্ত মখরুকাত আমার নূর থেকে সৃষ্টি।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে – আল্লাহু নুরুচ্ছামাওয়াত ওয়াল আরদ’ (আল কোরআন)। অথাৎ ‘আসমান জমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর নূর।
আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে এসেছে আল্লাহর ‘নূর’ এবং তার কিতাব।” সূরা আম্বিয়ায় (২১:১০৭) ঘোষণা করেছেন, ওয়ামা আরসাল্ নাকা ইল্লা রাহমাতুল্লিল আলামীন।’ অর্থ হচ্ছে – ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমস্ত জগতের রহমত স্বরূপ সৃষ্টি করেছি।
আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন অর্থ হচ্ছে ‘সমস্ত জগতের প্রভু’; আর হযরত মোহাম্মদ (দঃ) ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’ অর্থাৎ ‘সমস্ত জগতের রহমত।’
কোরআন শরীফে আরো বলা আছে – ‘মাই ইয়ুতিউর রাসুলুল্লাহু, ফাকাদ আতা আল্লাহ্’। অর্থাৎ ‘যারা রাসুলুল্লাহর এতেবা (দাসত্ব) করবে তারা আল্লাহ্ পাকেরই এতেবা (দাসত্ব) করবে।’
‘কুল ইনকুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহা, ফাত্তাবিয়ুনি ইয়াহুব্বিকুমুল্লাহু ওয়া ইয়াগফির লাকুম জুনুবাকুম, আল্লাহু গাফুরুর রাহীম।’ অর্থ হচ্ছে – ‘হে মুহাম্মদ, বলুন যদি তোমরা আল্লাহকে মহব্বত করতে চাও তবে আমার এতেবা (দাসত্ব) কর। আল্লাহ পাক তোমাদের মহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’
প্রভুকে না চেনা পর্যন্ত দাসত্ব করা যায় না। প্রভুর দাসত্ব করতে হলে, তথা আল্লাহর দাসত্ব করতে চাইলে প্রথমে তাঁর হাবীব রাসুলুল্লাহকে (দঃ) জানতে হবে, চিনতে হবে এবং তাঁর এতেবা করতে হবে।
পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহ পাক বলেন, ‘কুল ইন্নামা আনা বাশারুম মিসলুকুম ইউহা ইলাইয়া।’ অর্থাৎ ‘বল হে মুহাম্মদ, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ যাহার উপর অহি নাজিল হয়।’
এই পবিত্র আয়াতের প্রেক্ষিতে হযরত মোহাম্মদ (দঃ)কে জানার ও চেনার চেষ্টা করা প্রত্যেক বিশ্বাসীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
বস্তুত আত্মার মৃত্যু নাই, আত্মা নিত্য শাশ্বত। সেজন্য নূরে মুহাম্মদীকে জানতে হলে আত্মার উন্নতি অপরিহার্য। আত্মার উন্নতি না হলে নূরে মোহাম্মদীকে জানার কোন সুযোগ নেই। ইবাদত ছাড়া আত্মার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন শরীফের সূরা যারিয়াহ-এ (৫১:৫৬) আল্লাহ পাক বলেন, ‘আমি সৃষ্টি করেছি জ্বীন এবং মানুষকে, এই জন্য যে তারা আমার ইবাদত করবে।’
এই ইবাদত প্রথমেই শুরু করতে হবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে। আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন শরীফের সপ্তম পারার সূরা মায়িদা’য় বলেন, ‘ওয়া আতিআল্লাহু ওয়া আতিউর রাসুল।’ অর্থাৎ ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য বা পয়রবী কর ও রাসুলের আনুগত্য বা পয়রবী কর।’
হযরত মোহাম্মদ (দঃ) যে আল্লাহর নূরের আলোকিত রূপ তা তাঁর নামের মমার্থ থেকেই বোধগম্য হয়। হযরতের (দঃ) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পিতামহ আব্দুল মুত্তালিব আরবের চিরাচরিত প্রথানুযায়ী জ্যোতিময় শিশুর ‘আকিকা’ উৎসবের আয়োজন করেন এবং শিশুটির নাম রাখেন ‘মুহাম্মদ’।
এদিকে হযরত মোহাম্মদ (দঃ) মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় তাঁর মহাম্মদীয় মাতা বিবি আমিনা স্বপ্ন দেখেন তার প্রাণপ্রিয় শিশু পুত্রটির নাম যেন ‘আহমদ’ রাখা হয়। সে কারণে ‘মুহাম্মদ’ নামের পাশে তিনি ‘আহম্মদ’ নাম রাখেন।
এভাবেই আমাদের প্রিয় রাসুল (দঃ) মুহাম্মদ এবং আহমদ এ দু’টি নামে অভিহিত হলেন।
হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে যে, ‘আমি আহমদ ছিলাম, মিমকে নিজের মধ্যে স্থান দিলাম এক ভালবাসার মাধ্যমে নিজেকে মুহাম্মদ নামে পরিচিত করিলাম।’ রাসুলে করিম (দঃ) নিজেই বলেন, ‘আনা আহমাদুন বিলা মিম’ অর্র্থাৎ ‘আমি মিম ছাড়া আহমদ’। এই আহমদের নূরের উজ্জ্বলতাতে আদমের অস্তিত্ব বিকশিত। আল্লাহতাআলা নিজেই এই আকৃতির স্রষ্টা।
‘আহমদ ও মুহাম্মদ’ এ দুটি নামের মধ্যে দার্শনিক রহস্য লুকায়িত আছে। এ দুটি নাম পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। ‘মুহাম্মদ’ এর অর্থ হচ্ছে ‘চরম প্রশংসিত’ এবং ‘আহমদ’ এর অর্থ হচ্ছে ‘চরম প্রশংসাকারী’। পবিত্র কোরআন শরীফে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন দ্বারা তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।
অন্যদিকে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রশংসা একমাত্র তিনিই সর্বাধিক করতে সক্ষম হয়েছেন। কোরআন শরীফের একটি আয়াত ‘ফা আইনামা তুয়াল্লু ফাসাম্মা ওজহুল্লাহ।’ আর্থাৎ ‘যে দিকে নয়ন ফিরাও সেদিকেই আল্লাহর অস্তিত্ব।’
হযরত রাসুলে করিম (দঃ) হাদীসে এরশাদ করেছেন – ‘আনা মিন নুরিল্লাহি ও কুল্লি শাইয়িমমিন নুরী।’ অথাৎ ‘আমি আল্লাহর নূর থেকে এবং বিশ্ব জগতের সবকিছু আমার নূর থেকে।’
হাদীসে কুদসীতে বলা আছে – ‘আউয়ালুনা মুহাম্মদ, আখিরুনা মুহাম্মদ, আওছাতুনা মুহাম্মদ, কুল্লুনা মুহাম্মদ।’ অর্থাৎ ‘আমার আদি, আমার অন্ত, আমার মধ্যে, আমার সমস্তই মুহাম্মদ (দঃ)।
নবীজীর পবিত্র নাম মোবাককের মধ্যে দুইটি মিম আছে। প্রথমটি হাবিবিয়াত অর্থাৎ আশিক বা প্রেমিকের দরজা। দ্বিতীয়টি মাহবুবিয়াত বা মাশুকের দরজা। আল্লাহ্ তাআলা রাসুলে করিম (দঃ)এর প্রেমিক বা প্রেমাস্পদ। রাসুলে করিম (দঃ)ও আল্লাহ তায়ালার প্রেমিক ও প্রেমাস্পদ।
‘উন্ছ’ ধাতু থেকে ‘ইনসান’ শব্দের উৎপত্তি। ‘উন্ছ’ অর্থ প্রেম। ‘ইনসান’ প্রেমময় আল্লাহর প্রেমময় সৃষ্টি। তাই আল্লাহ্ চায় তাঁর বান্দা তাঁর প্রেমাস্পদ মুহাম্মদ (দঃ)এর প্রতি প্রেমভাবে আত্মসমর্পন করুক। পবিত্র কোরআন শরীফের ২৬ পারায় সুরা ফাত্হ-এ আল্লাহ পাক বলেন – ‘যাহারা তোমার বায়’আত গ্রহণ করে তারা তো আল্লাহর বায়’আত গ্রহণ করে।’
আবার হাদীসে কুদসীতে উল্লেখ আছে, আল্লাহ্তালা বলেন –
১.‘আল ইনসানু মিরাতির রহমানু’ অর্থাৎ ইনসান রহমানের আয়না।
২.‘আল ইনসানু র্সিরি ওআনা সিররুহু’ অর্থাৎ ইনসান আমার রহস্য, আমি ইনসানের রহস্য।
৩.‘আল ইনসানু বুনইয়ানা রাব্বাহু’ অর্থাৎ ইনসান তাহার রবের বুনিয়াদ।
হযরত মুহাম্মদ (দঃ) ছিলেন ¯্রষ্টা ও সৃষ্টির মাধ্যম বা বাহন। তিনি আল্লাহর রাসুল বা প্রতিনিধি। আল্লাহ্তালা পবিত্র কোরআন শরীফের বাহকরূপে হযরত মোহাম্মদ (দঃ)কে এ ধরা পৃষ্ঠে প্রেরণ করেন। তিনি মানব জাতির সামনে সুষ্পষ্টভাবে কোরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যা তুলে ধরবেন। আল্লাহর রাসুল নিজের কথায় ও কাজে অত্যন্ত সুন্দর সুপরিকল্পিতভাবে এ মহান দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর গোটা জীবনেই ছিল কোরআন মজীদের বাস্তব ও জীবন্ত ব্যাখ্যা।
আল্লাহ নিরাকার। ‘আল্লাহ’ শব্দটি অতুলনীয়। বহুবচন বা স্ত্রীলিঙ্গ নাই। কোন ধাতু বা শব্দ থেকে উদ্ভুত নয়। সর্বপ্রকার সম্বন্ধ রহিত একক ও অনুপম এক নাম। তাঁর সমতুল্য আর কেহ নাই। আমরা যে অবস্থান করি এই অবস্থানের গুণের চেয়েও তিনি মুক্ত। অর্থাৎ অবস্থান না করে ও তাঁর স্থিতি আছে। নিগুণ আহাদ অর্থাৎ আল্লাহ্ না থেকেও আছেন।
ইসলাম ধর্মে আল্লাহর ৯৯ নাম বা সিফাত আছে। এই গুণগুলোও আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ নয়। গুণ থেকে বস্তু পৃথক। যেমন শিখার জ্যোতি থেকে শিখা পৃথক।
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর মূলস্বরূপ বুঝবার জ্ঞান-শক্তি সাধারন মানুষের নাই। বিশ্ব স্রষ্টার সন্ধান এবং বিশ্ব রহস্য উদঘাটন কেবল আত্মোপলব্ধির মাধ্যমেই সম্ভব। আল্লাহ অদৃশ্য, তিনি অদৃশ্যের স্রষ্টা। মানুষের রুহ বা আত্মা অদৃশ্য। এটা আল্লাহর এক হুকুম মাত্র। এই হুকুম মহাশক্তিশালী আল্লাহপাকের এক অদৃশ্য শক্তি। এই শক্তিতে মানুষের দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সজীব আছে।
এটা ছাড়া মানুষ এক লাশ। এই রূহ’ই আল্লাহর নূরের জ্যোতি বা নূরে মুহাম্মদী। এই রূহ শক্তি দ্বারা মানুষ স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করে। আর স্রষ্টা বা সৃষ্টি উভয়ের প্রতিনিধি আল্লাহর প্রিয় হাবীব ও আমাদের রাসূল হযরত মোহাম্মদ (দঃ)। তাই মানবজাতির তাকে চেনার ও জানার চেষ্টা সম্পূর্ণই আত্ম উপলব্ধি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)