দেশের স্বার্থে পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চাপে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। পদত্যাগপত্র সঙ্গে নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
চ্যানেল আইকে গভর্নর বলেন, ‘আমি পদত্যাগ এর জন্য প্রস্তুত, নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় আছি, সম্মান নিয়ে বিদায় নিতে চাই।’
গভর্নর বলেন, তিনি যে কাজগুলো করেছেন তা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষার জন্য। তবে সরকার যা চাইবে, দেশের স্বার্থের জন্য যা প্রয়োজন তিনি তাই করবেন। ইতোমধ্যে কাজগুলো শুরু করা হয়েছে সেগুলোর নিরাপত্তা যেনো বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য তিনি একটু সময় নিচ্ছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘মানুষ কাজ করতে গেলে ভুল করেই। আমি অনেক বেশি কাজ করলেও সে তুলনায় ভুল কমই করেছি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক নিয়ে নেয়া পদক্ষেপগুলো যদি সরকার ভুল মনে করে থাকে তবে সেগুলো সংশোধনের সুযোগ ছিলো বলে মনে করেন গভর্নর, ‘আমি যদি অন্যায় করে থাকি, তবে আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমার সন্তানের মতো।’
‘আমি আমার কাজগুলোর ব্যাখ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে চেয়েছিলাম। সেজন্যই আমি তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি যদি আমাকে ডাকেন আমি নিশ্চয়ই তার কাছে গিয়ে ব্যাখ্যা করবো আমি কী করেছি, কেনো করেছি,’ বলেন ড. আতিউর রহমান।
‘আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, আমি চলে গেলে নাকি বাংলাদেশ ব্যাংক ভালোভাবে চলবে। তিনি মতামত দিতেই পারেন,’ বলেন গভর্নর, ‘কিন্তু আমি তাকে ব্যাখ্যা করে বলেছি, আমি যদি তখন খবরটা দিয়ে দিতাম, তবে যে টাকাগুলো এখন ফেরত আনতে পেরেছি হয়তো আনতে পারতাম না। হ্যাকাররা সাবধান হয়ে যেতো।’
তবে সব এজেন্সিকে বলা হয়েছিলো এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিচার, বিবেক ও দেশপ্রেম থেকে যা করা ঠিক মনে হয়েছে তাই তিনি করেছেন বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর। ‘তারপরও সরকার যদি চায় আমার চেয়ে উপযুক্ত মানুষ কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করবে, আমি ভালোভাবে তাকে কাজ বুঝিয়ে দেবো।’