গল্পটা একই প্লাস্টিক কারখানায় কর্মরত দুজন শ্রমিকের। শ্রমিক হলেও অত্যন্ত সুখের দাম্পত্য জীবন তাদের! তবে রয়েছে ছোট্ট আফসোস! কেন তারা দুজন এক শিফটে কাজ করতে পারেন না! এর মধ্যে একদিন একই শিফটে কাজ করার সুযোগ পায় এই দম্পতি। আর সেদিনই ঘটে ভয়ঙ্কর ট্র্যাজেডি!
পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দার বললেন, খুব সাধারণ একটি গল্প। নেই কোনো কমপ্লেক্স। শ্রমিক দম্পতির গল্পে অসাধারণ অভিনয় করেছেন সময়ের তারকা জুটি আফরান নিশো এবং মেহজাবীন। পরিচালকের ভাষ্য, দুজনেই কাজটি নিয়ে আন্তরিক ছিলেন বলে মাত্র দু’দিনে শেষ করতে পেরেছি।
ব্যতিক্রমী এ নাটকটির নাম ‘শিফট’। মূল গল্প আফরান নিশোর, লিখেছেন ইশতিয়াক অয়ন। প্রচার হবে ভালোবাসা দিবসে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। তারপর উন্মুক্ত হবে ইউটিউবে।
সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, শুটিং করেছি মিরপুরের একটি প্লাস্টিক কারখানায়। নিশো-মেহজাবীন মতি-মায়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যে কোনো দুর্ঘটনার পড়ে জীবন থেমে যাওয়ার ঠিক মুহূর্তে সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য যে অনুভূতি কাজ করে সেটা ‘শিফট’-এ দেখিয়েছি।
‘শিফট’ নাটক নিয়ে কথা হয় মেহজাবীনের সঙ্গে। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানান, কাজটি করে তার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর আগে তিনি এ প্যার্টানের কাজ, গেটআপ ও লোকেশনে শুটিং করেননি। বললেন, সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করেছি। কাজের সময় একেবারে ব্ল্যাংক ছিলাম। আমি, পরিচালক এবং নিশো ভাই শুটিংয়ে খুবই মনোযোগী ছিলাম।
শুটিংয়ের আগে প্লাস্টিক শ্রমিকরা কীভাবে কাজ করেন সেটাও কাছে গিয়ে দেখেছেন মেহজাবীন। বললেন, ‘আমিও তাদের মতো কাজ করার চেষ্টা করেছি।’
এ নাটকে ইট, পাথর, রড, কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ে অভিনয় করতে হয়েছে লাক্স সুন্দরী মেহজাবীনকে। তিনি বললেন, ওগুলোর ভার যতক্ষণ না শরীরের আসছিল, ততক্ষণ ওই পজিশনের এক্সপ্রেশন আনা কঠিন ছিল। শরীরে যতটুকু ওজন নিয়ে শুটিং করা যায়, করেছি। যে কষ্ট করেছি, দর্শক অনস্ক্রিনে দেখতে পারবেন।
শিল্পীদের সীমাহীন অ্যাফোর্ড ছাড়া এতো সূক্ষ্ম কাজটি করা কখনই সম্ভব হতো না বলে জানান নির্মাতা। এ জন্য নিশো-মেহজাবীনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সঞ্জয় সমদ্দার। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, একবার তার স্ত্রী সড়কে বাস দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার সময় এবং তারপরে প্রিয় মানুষটির জন্য কেমন অনুভব হয় সেটা আমি খুব ভালো করে জানি।
নির্মাতা বলেন, গল্পে নিশো-মেহজাবীন যখন ধ্বসে চাপা পড়ে পরস্পরে টান, শেষ সময়ে হাহাকার সেটা দেখিয়েছি। মানুষ যখন নাটকটি দেখবে, তখন বুঝবে জীবনের একেবারে সংকটকালে প্রিয় মানুষের প্রতি কতো ভালোবাসা অনুভব হয়।