গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেনের সেঞ্চুরির কাছে হেরে গেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান। নাসিরের ১০৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে মোহামেডানের করা ২২০ রান ৩৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকায় গাজী গ্রুপ।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডানের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্য টপকাতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জহুরুল ইসলামের (১) উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। ২৪ রানের মাথায় মুমিনুল হক নামের পাশে ২ রান লেখিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর মোহামেডান বোলারদের সুযোগ দেননি এনামুল হক বিজয়। ৫১ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুর চাপ সামলান। তবে দলীয় ৭৯ রানে বিজয় আউট হলে আবার চাপে পড়ে গাজী গ্রুপ।
সব চাপকে বুড়ো আঙুল দেখান নাসির হোসেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নিতে আর কোনও উইকেটই হারাতে হয়নি তার দলের।
নাসিরের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে জুটিতে ভারতীয় ক্রিকেটার পারভেজ রসূল অপরাজিত থেকে যান ৫৩ রানে। এ দুজনের ১৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অনায়াস জয় পায় গাজী গ্রুপ।
নাসির ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে সাজান ১০৬ বলে ১০৬ রানের ইনিংসটি। রসূলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও একটি ছক্কা।
তাইজুল ইসলাম দুটি ও রহমত শাহ নেন একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২০ রান তোলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দলটির হয়ে আফগান অলরাউন্ডার রহমত শাহ করেন সর্বোচ্চ ৭৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৫২।
আলাউদ্দিন বাবু ও মেহেদি হাসান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি।
অন্য ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। রুবেল হোসেনের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৮৪ রানে অলআউট হয় কলাবাগান। রুবেল একাই নেন ৬ উইকেট। ৮.২ ওভার বল করে দেন ২১ রান। করেন দুটি মেডেন ওভার। দুটি উইকেট নেন সৌম্য সরকারও।
জবাবে ভারতীয় ক্রিকেটার উন্মুখ চাঁদের অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে ৪৬.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় প্রাইম ব্যাংক।
অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা নেন তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও শাহবাজ চৌহান।