বগুড়া ও নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে বগুড়ার শেরপুরে বাসচাপায় ৫ জন এবং নীলফামারী সদরের দারোয়ানী রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ নাদির হোসেন জানান: ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির নওগাঁগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে শেরপুর থেকে চান্দাইকোনাগামী সিএনজি অটোরিকশাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অটো রিকশাটিতে চালকসহ ৬ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজনই ঘটনাস্থলে মারা যান।
তিনি বলেন: বুধবার বিকেল ৫টার দিকের এ ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে। বাস এবং লাশগুলো শেরপুর হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার ছিলিমপুর ও মেডিকেল ফাঁড়ির এএসআই রকিবুল জানান: শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো না। তবে তার পরিচয় কেউ শনাক্ত করেনি।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম জানান: লাশগুলো থানায় রাখা আছে। লাশগুলোর পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাসটিও থানায় আছে।
অন্যদিকে নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ইজিবাইকের ৩ যাত্রী মারা গেছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন চালকসহ আরও ৫ যাত্রী। হতাহত যাত্রীদের সবাই জেলার উত্তরা ইপিজেডের নারী শ্রমিক।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নীলফামারী সদরের দারোয়ানী রেল ক্রসিংয়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান: বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইপিজেডের ৭ নারী শ্রমিক ইজিবাইকে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি দারোয়ানী রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে আরোহীসহ ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে রেললাইন থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে ছিটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন: ওই সময় লেভেল ক্রসিংয়ে কোনো সিগন্যাল ছিল না।