দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া কুড়িয়ে পাওয়া শিশু’টি অবশেষে মৃত্যুবরণ করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক চৌহান এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। পুলিশের সহায়তায় মৃত শিশুটিকে নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছা. নাজমুন নাহার নিজে নিয়ে গিয়ে জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করেছেন।
ওসি অশোক চৌহান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শিশু’টির অবস্থার অবনতি হলে নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহার স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসককে সাথে নিয়ে পুলিশের সহায়তায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটি’র সাথে সারারাত অবস্থান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার সকাল সোয়া ৭ টায় শিশুটি মারা যায়। এরপর পুলিশের সহায়তায় মৃত শিশুটিকে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নাজমুন নাহার নিজে নবাবগঞ্জে নিয়ে এসে জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহমি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্মকত চিকিৎসকরা জানান, শিশুটিকে অপরিপক্ত অবস্থায় সাড়ে ৬ মাসে প্রসব করানো হয়েছে। শরীরে আঘাত পেয়েছে। একারণে শিশুটি শ্বাসকষ্টে মৃত্যুবরণ করেছে।
শনিবার বিকেলে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের বাজার এলাকার একটি সেতুর পাশের ধান ক্ষেতের আইল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে ওই এলাকার যুবক কবিরুল ইসলাম।
কবিরুল শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-উর-রশিদের কাছে নিয়ে আসেন। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নবাবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোছা.নাজমুন নাহারকে জানালে তিনি শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে শিশুটি’র বৈধ অভিভাবক না পাওয়ায় তিনিই কুড়িয়ে পাওয়া শিশু কন্যাকে লালন পালন করবেন বলেও উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।