বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে দিলেই ঢাকার জলাবদ্ধতা দূর হবে বলে মনে করে ওয়াসা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে নগরী গড়ে না তোলার কারণেই জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে ‘বালতি’তে পরিণত হয়েছে নগরী।
গত দু’দিনের ঢাকার চিত্র দেখলে বোঝা দায়, এখানে বাস চলে নাকি নৌকা? বারবার দাবি উঠলেও জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই নেই নগরবাসীর। ঢাকা মহানগরের জলাবদ্ধতা কমাতে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। নিয়মিত আবর্জনা অপসারণ না করায় এসব কালভার্টের ভেতর পলিথিনসহ বর্জ্য জমে নিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ. খানের মতে, নিম্নাঞ্চলগুলোকে ভরাট করে ঢাকাকে একটা ‘বালতি’ বানানো হয়েছে। ঢাকা শহরে বক্স কালভার্ট হারাম। বক্স কালভার্ট তৈরি করে ঢাকা শহরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সমস্যা সঙ্কুল করে তোলা হয়েছে। তাই এগুলো ভেঙ্গে বা উন্মুক্ত করে দিলে রাজধানীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আরেকটু ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি।
পরিকল্পনার অভাবই ঢাকার জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের জল-সঞ্চালন ব্যবস্থা, অর্থাৎ বৃষ্টির পানি পড়া থেকে শুরু করে তা নদী পর্যন্ত অথবা মাটির নিচে যাওয়ার পুরো ব্যবস্থার যে যে অংশ যে অবস্থায় আছে তাকে সম্পূর্ণ সচল করার ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব।
তবে বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করার বিষয়ে ওয়াসার বক্তব্য সমর্থন করলেও এ কাজ অনেক সময়সাপেক্ষ বলে মনে করে সিটি কর্পোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বক্স কালভার্ট কোনো ছোট প্রকল্প নয়। এর ওপর দিয়ে নির্মিত রাস্তা দিয়ে লাখ লাখ মানুষ চলাচল করে। তাই বক্স কালভার্ট ভেঙ্গে দিয়ে সেখান দিয়ে মানুষ কীভাবে চলাচল করবে সেটাও বিবেচনার বিষয়।
ভুক্তভোগী জনগণের দাবি, বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে নগরবাসীকে জলবদ্ধতা থেকে রেহাই দেওয়ার।