নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হবিগঞ্জের বাহুবলের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের সেই চার শিশুর স্মরণে স্থানীয় স্কুলে নির্মিত হচ্ছে শ্রেণিকক্ষ ও পাঠাগার। সেই সঙ্গে সরকারি খরচেই নিহতদের পরিবারকে নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে বসত ঘর।
নিহতদের বাবা মা সরকারের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও, ভুলতে পারছেন না সন্তান হারানোর শোক। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।
সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম চার শিশুর স্মরণে স্থানীয় সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণের কথা জানান। এতে ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই ভবনে একটি ক্লাসরুম ও একটি পাঠাগার তৈরি করা হবে। সংরক্ষিত মহিলা এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী ওই লাইব্রেরির বই কেনার জন্য অনুদান দেবেন। লাইব্রেরিতে কম্পিউটার ও প্রয়োজনীয় ফার্নিচারও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, নিহত চার শিশুর পরিবারের সদস্যদের সরকারি খরচে ৪টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মোট ৫টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। এগুলোর চারটি নিহত চার শিশুর পরিবারকে দেয়া হবে। আরেকটি তাদেরই এক চাচাতো বোনকে দেয়া হবে। অচিরেই এগুলো তাদের বুঝিয়ে দেয়া হবে।
নিহত শুভ’র বাবা আব্দুল ওয়াহিদ জানান, আমাদের সন্তান চলে গেছে। তাদেরকে কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আমরা টাকা-পয়সা চাই না। শুধু সন্তান হত্যার বিচার চাই। তবে সরকারের এ উদ্যোগে আমরা খুশি।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজের পাঁচদিন পর শুভ (৮), মনির (৭), তাজেল (১০) এবং ইসমাইল (১০) নামের ওই চার শিশুর মৃতদেহ বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়। তাদের মধ্যে তিনজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া গত বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আরো কয়েকজন।