রাজধানীতে চলন্ত মাইক্রোবাসে গারো তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় র্যাবের হাতে
আটক দুই ধর্ষককে ভাটারা থানায় পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে র্যাব। নির্যাতিত
তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতে পৌঁছেছে
বলেও থানা সূত্রে জানা গেছে।
আটক দুই ধর্ষক র্যাবের
কাছে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করার কথা আগেই স্বীকার করেছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা
ফ্যাশন হাউসের সেলস গার্ল এক গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণের
ঘটনা ঘটে ২১ মে রাতে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৬ দিন পর এলিট ফোর্স আটক করে
প্রধান অভিযুক্ত বায়িং হাউস কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন তুষার ও মাইক্রোবাস
চালক লাভলুকে।
ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে স্বীকার করে
তুষার জানিয়েছে, দুই বিদেশী নারী বায়ারকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এক শো-রুমে
গিয়ে পরিচয় হয় ওই গারো তরুণীর সঙ্গে।
মামলায় ৫ জনের
বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলেও তুষারের দাবি, ছাই রং এর ওই মাইক্রোবাসে তার
সঙ্গে ড্রাইভার ছাড়া আর কেউ ছিলো না।
র্যাব জানিয়েছে,
তুষারের এক বন্ধু ফিরোজও ধর্ষণ পরিকল্পনায় ছিলো। তারও ওই অপকর্মে যোগ
দেওয়ার কথা ছিলো। তবে সময়মতো সে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে আসামী না করে
সাক্ষী করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় রিট করে পাঁচটি মানবাধিকার
সংগঠন। ধর্ষণের শিকার গারো তরুণীটি রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে একটি
দোকানে কাজ করতেন।