এবার সংবাদমাধ্যমকে মার্কিনিদের শত্রু বলে আক্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফ্লোরিডার মার–আ–লোগোয় তিনি সপ্তাহান্তের অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পাওয়া অঙ্গরাজ্য হিসেবে ফ্লোরিডায় একটি র্যালিতে অংশ নিতে শনিবার স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে যান।
সেখান থেকে ফিরেই টুইটে মার্কিন প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করেন তিনি। টুইটে লিখেছেন, সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের শত্রু।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত ‘ক্যাম্পেইন র্যালি ফর অ্যামেরিকা’য়ও ট্রাম্প গণমাধ্যমকে ‘অসৎ’ বলে আক্রমণ করেন। বলেন, গণমাধ্যম ‘সত্য নিয়ে সংবাদ করতে চায় না’, তাদের রয়েছে নিজস্ব এজেন্ডা। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করছে বলে বারবার অভিযোগ করেন তিনি।
ট্রাম্প নিজের একমাস বয়সী সরকারের অর্জনের পক্ষেও কথা বলেন। তার দাবি, তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আশাবাদের একটি উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যেই সংবাদ মাধ্যম পক্ষপাতদুষ্ট বলে প্রচারণা শুরু করেছেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, সাংবাদিকরা তার সহকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘যারা ভুয়া খবর প্রচার করে তারা আমার শত্রু নয়, মার্কিন জনতার শত্রু।’
গত বৃহস্পতিবারও সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের আক্রমণ করেন ট্রাম্প। মাত্র এক মাসের প্রশাসক ট্রাম্পের প্রশাসন নিয়ে সংবাদমাধ্যম যে ভাবে সমালোচনা করছে, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও সাংবাদিকদের সমালোচনা শুধু যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই করেছেন এমন নয়, এর আগেও একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে। কিন্তু ট্রাম্পের আক্রমণ নজিরবিহীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যে অসন্তুষ্ট সে দেশের সংবাদমাধ্যম। এই পর্যায়ে সরকারের রোষ বাড়তে থাকলে, অদূর ভবিষ্যতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হতে যে বেশি সময় লাগবে না, সেটাই তাদের চিন্তা। যদিও বিরোধীরা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন। ইতিমধ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার উপদেষ্টা বেন রোস ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তাতে অবশ্য দমেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।