করোনার যে থাবা শুরু হয়েছিল বিদায়ী বছরে, সেই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে এসে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি শুক্রবার এ তথ্য জানায়।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানায়, এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মোট কোভিড-১৯ এ শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫। একক দেশ হিসাবে আক্রান্ত ও মৃতের এই সংখ্যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ১২৯ লোকের মৃত্যু হয়েছে, বর্তমানে ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশী লোক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যুক্তরাষ্ট্র গণ টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করেছে, ২৮ লাখ লোককে ইতিমধ্যেই প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বছরের শেষ নাগাদ ২ কোটি লোককে টিকাদানের ঘোষণা দিয়েছিল।
সেন্টারর্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন জানায়, দেশব্যাপী ১ কোটি ২০ লাখের বেশী ভ্যাকসিন ডোজ বিতরণ করা হয়েছে। তবে লজিস্টিক সমর্থন এবং হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অত্যাধিক চাপের কারণে স্বাস্থ্যকর্মী এবং ঝুঁকিপূর্ণ লোকদের টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
জো বাইডেন ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি টিকাদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার সমালোচনা করে এই সপ্তাহে বলেছেন, সরকারের জন্য উৎপাদন জোরদারে বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করার কোরিয়ান যুদ্ধকালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন আইন তিনি ফিরিয়ে আনবেন।
জনস হপকিন্স জানায়, গত শুক্রবার দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটিতে পৌঁছানোর আগে গত ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ কোটি।
বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাজিলে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৯ জন মারা গেছে, আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৩ জন। এরপরেই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ভারতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৯৪ জনের মৃত্যু এবং ১ কোটি ২ লাখ ৮৬ হাজার ৭০৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।