এমআইটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লব ও গবেষণায় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অব থিংসসহ অভিনব প্রযুক্তিতে এমআইটি’র দারুণ সব গবেষণা কার্যক্রম পুরো পৃথিবীর চিত্র বদলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন ভবিষ্যতে এমআইটি’র সঙ্গে অভিনব প্রযুক্তিতে (ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি) যৌথভাবে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে আয়োজিত “ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ ইন ডিজিটাল এজ” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পলক বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে অনন্য সব প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে চায়। তাই, আমাদের অভিনব প্রযুক্তিতে কাজ করতে হবে এবং আমরা এমআইটি’র সাথে কার্যকর ও টেকসই অংশীদারিত্বে মাধ্যমে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী।
প্রতিমন্ত্রী বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদেরে সরকার ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ একাডেমী (আইডিয়া) শীর্ষক এক অনন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সরকারের সাথে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্ট-আপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।
এমআইটি’র কানেকশন সায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এম শয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে বাংলাদেশের করণীয়, সুযোগ ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্মানজনক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রশসংনীয়।