গত বছরের ২৬ নভেম্বর বগুড়ার শিয়া মসজিদে হামলা মামলার অন্যতম আসামী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য কাওসার শিবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। বুধবার ভোর ৬ টার দিকে শিবগঞ্জ সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) গাজীউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে গত দু’দিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪-এ।
পুলিশ জানায়, আটমূল এলাকায় শিয়া মসজিদে হামালার সাথে জড়িত
জেএমবি সদস্যদের গোপন বৈঠক চলছে। এমন খবরের ভিত্তিততে অভিযানে নামে জেলা
পুলিশের একটি দল। আটমূল এলাকায় পৌঁছামাত্রই পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি হাত
বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি সদস্যরা।
এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ঘটনাস্থলে জেএমবি সদস্য কাওয়ার গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বগুড়ার শহিদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত
বছর ২৬ নভেম্বর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে মুসল্লীদের উপর
বন্দুকধারীদের গুলি বর্ষনে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত এবং ৩ মুসল্লী গুলিবিদ্ধ
হন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু নিহত হওয়ার পরই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র বিরুদ্ধে ‘ক্র্যাকডাউন’ শুরু করে পুলিশ। ৬ জুন প্রথম রাতের অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ঢাকা ও রাজশাহীতে তিন জেএমবি সদস্য নিহত হয়।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাবুল আক্তারের জঙ্গিবিরোধী অভিযানগুলো মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে মিতু হত্যাকাণ্ডের পেছনে জেএমবি থাকতে পারে।
‘আমরা জেএমবিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে এই বার্তাটা দিতে চাই যে একজন কর্মকর্তার স্ত্রীকে হত্যা করে তারা যদি মনে করে পুলিশ সদস্যদেরকে ভয় পাইয়ে দেয়া যাবে তাহলে তারা ভুল করবে,’
এমন মন্তব্য করে গোয়েন্দা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বরং তাদের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার হবে এবং প্রথম রাতের অপারেশনের পর তারা সেটা আরও ভালো করেই বুঝতে পারছে।
তবে জেএমবির ভেতরে এখন জামায়াত-শিবিরও সক্রিয় বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন।