ভারতের চেন্নাইয়ে শঙ্কর নেত্রালয়ে চিকিৎসাধীন তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান তার বাম চোখে অস্ত্রোপচার করাবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের পরও চোখের আলো ফিরবে না। সোমবার চেন্নাইয়ের সিদ্দিকুর রহমানের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ তথ্য জানান চিকিৎসক লিঙ্গম গোপাল।
ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক ডা. গোলাম মোস্তফা চ্যানেল আই অনলাইন বলেন, সিদ্দিকুরের দুই চোখেই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ডান চোখটা পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, ফলে ডান চোখ প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। বাম চোখে খানিকটা আশা আছে দেখার, কারণ বাম চোখ ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা তাকে অবজারভেশনে রেখেছি। তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বাম চোখের অবস্থা কি তা জানতেই সিদ্দিকুরকে চেন্নাইয়ে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানালেন, অস্ত্রোপচারেও কিছু হবে না।
সিদ্দিকুর রহমানের বন্ধু শেখ ফরিদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সোমবার দুপুরে আধাঘন্টার মতো সিদ্দিক ও সঙ্গে থাকা বড় ভাই নায়েব আলীর সঙ্গে মেসেঞ্জারে কথা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করেও কিছু হবে না চিকিৎসক এ কথা জানানোর পর দীর্ঘক্ষণ হাসাপাতাল কক্ষে বসে কান্নাকাটি করেছেন সিদ্দিকুর রহমান।
চিকিৎসকরা সিদ্দিককে জানিয়েছেন বাম চোখে অস্ত্রোপচার করলে এক শতাংশ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে, সিদ্দিক চাইলে মানবিক দৃষ্টিতে তার বাম চোখের অস্ত্রোপচার করা হবে।
সিদ্দিকুরের বন্ধু শেখ ফরিদ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্দিক অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২৭ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে সিদ্দিকুরকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হয়।
গত (২০ জুলাই) বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা রুটিনসহ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন।
একপর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করা হয়। ওই দিন পুলিশের ‘কাঁদানে গ্যাসের শেলে’ চোখে গুরুতর আঘাত পান তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর।