ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ২৭২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ২৯৬ রান। শেষ উইকেট জুটিতে ২০ রান যোগ করে লিডটা বাড়িয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বী ও শুভাগত হোম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন ইমরুল কায়েস।
২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভাল শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও বেন ডাকেট। ঠিক ১০০ রান করে বিচ্ছিন্ন হন তারা। ৫৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়েছেন ডাকেট। এরপর পাঁচ রানের ব্যবধানে জো রুটকে(১) ফিরিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিনে বড় লিডের টার্গেটে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানে আর ৭টি উইকেট হাতে নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাট করেন ইমরুল কায়েস। তবে পরে ৭৮ রান করে মঈন আলীর বলে আউট হন তিনি। ইমরুলের পর ফিরেন সাকিবও। একাধিকবার জীবন ফিরে পাওয়া সাকিব ৪১ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন।
সাকিব ফেরার পর ক্রিজে দেরি করেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। স্পিন সহায়ক উইকেটে তিনি আউট হয়েছেন পেস বলে খোঁচা মারতে গিয়ে। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান।
বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সবাই যেন ওয়ানডে মেজাজ নিয়ে ক্রিজে নামেন। তার নমুনা রাখেন সাব্বির রহমানও। টেস্টে যখন মাত্র তিন চলছে এবং দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পরও তিনি ব্যাট চালান ওয়ানডে স্টাইলে। পরে ১৭ বলে ১৫ রান করে করে রশিদের শিকার হন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে এসে উইকেটে পরিচিত হওয়ার আগেই ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ(২)। বল হাতে উজ্জ্বল হলেও ব্যাট হাতে ফিকে তিনি। আদিল রশিদকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে হিট করতে গিয়ে রুটের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মিরাজ ফেরার পরের ওভারে সাজঘরের রাস্তা ধরেন তাইজুল ইসলাম। বলে লাইনে না গিয়ে দায়সারা খেলা খেলতে গিয়ে কটবিহাইন্ড হন তিনি। এরপর শেষ উইকেটে টি-টুয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট করেন রাব্বী ও শুভাগত হোম। দুজনে যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ২০ রান। ২৮ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন হোম। রাব্বীর ব্যাট থেকে আসে ৭ রান।
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ১১৬। রানরেট চারের কাছাকাছি। মধ্যহ্নবিরতির আগে পরে মিলে শেষ ১০ ওভারে আবার রানরেট ৫ দশমিক ৪০।
ইংল্যান্ডের হয়ে আদিল রশিদ ৪টি, বেন স্টোকস ৩টি, জাফর আনসারি দুটি ও মঈন আলী একটি উইকেট নেন।