আল-কায়েদার হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে যারা ফিল্ড অপারেটর হিসেবে কাজ করছে আগে তাদেরকে নির্মূল করতে হবে বলে মনে করেন জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ বিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার কবির।
অভিজিত রায় হত্যার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদার ঘোষণার পর চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আল-কায়েদর জন্ম ১৯৯৮ সালে। ওই সময়ে পাকিস্তানের কিছু জঙ্গি নেতা ও বাংলাদেশের ফজলুর রহমান গ্লোবাল জিহাদের ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাঠ পর্যায়ে কিছু জঙ্গি গ্রেফতার হলেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে র জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, দেশে এখন আর কোনো জঙ্গি নেই বলে সরকারের আত্মতুষ্টিতে থাকার সুযোগ নেই।
তিনি জানান, শুধু আনসারুল্লাহ নয়; বাংলাদেশে ছোট বড় একশ’র মতো জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এদের প্রধান কাজ এখন বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি রিক্রুট করে আফগানিস্তানে পাঠানো।
সোভিয়েত আমলে বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে প্রায় ৫ হাজার জঙ্গি যুদ্ধ করেছিলো দাবি করে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, আফগানিস্তান থেকে ফিরে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা।
‘এদের অনেকে এখন হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জড়িত,’ দাবি করে তিনি বলেন, তাদের ধরতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা ব্যাপকভাবে ঢুকে পড়েছে। এমনকি বুয়েটের শতকরা ৭০ ভাগ শিক্ষক জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত।
অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ডে আল-কায়েদার দায় স্বীকারের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারকে সতর্ক করে শাহরিয়ার কবির বলেন, আমরা ২০১৩ সালে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সামর্থ্য দেখেছি। কিন্তু সামনে তারা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। তাই সরকারকে এখনই শক্তভাবে তাদের মোকাবেলা করতে হবে।