প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর। তাতেই বাজিমাত শামসুন্নাহারের। মিলেছে শিরোপার স্বাদ। যাতে ভূমিকা রেখেছে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স। জকি ক্লাব গার্লস ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়টির মুখে তাই আকর্ণবিস্তৃত হাসি, তবে মসৃণ ছিল না তার শুরুর পথটা।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের অনন্য আবিষ্কার শামসুন্নাহার। ফুটবল মাঠে খেলতে আসার জন্য যাকে সইতে হয়েছে বঞ্চনা। পরে নিজের যোগ্যতায় জয় করে নেয়া গ্রামের মানুষের মন। এখন সেই শামসুন্নাহার বাংলাদেশের পালকে যোগ হওয়া আরেকটি সাফল্যের প্রধান কারিগরও।
‘আগে অনেকে অনেক কথা বলতো। মাঠে আসতে দিত না। খেলতে দিত না। তারপরও মাঠে আসতাম। এখন তারাই আমাকে বলে ভাল খেলছ। সমর্থন দেয়। তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত হয়। সবাই ভাল বলে। নিজের কাছেই ভাল লাগে।’
চারজাতির টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ২৪ গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে লাল-সবুজের বাঘিনীরা। ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা কলসিন্দুরের আরেক গর্ব তহুরা খাতুন। যাকে পেছন থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা শামসুন্নাহার অন্য দেশের মেয়েদের কাছে সাফল্যের জ্বলন্ত উদাহরণ।
‘প্রথমবাররে মত দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে খুব ভাল খেলেছি। এজন্য আমার খুব গর্ব হচ্ছে। অন্য দেশের মেয়েরা আমাদের দেখে বলেছে বাংলাদেশ এত ভাল খেলে। আমাদেরও ভাল খেলা দরকার।’
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২.৪৫ মিনিটে বাংলাদেশের মাটি ছোঁয় লাল-সবুজ কিশোরীদের বহনকারী বিমান। পরে আনুষ্ঠানিকতা সেরে বাংলার বাঘিনীদের বহন করা বাসটি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে আসে চ্যানেল আই ভবনে। সেখানে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয় মারিয়া মান্ডার দলকে। দেয়া হয় সংবর্ধনা। শিরোপা জয়ী দলের প্রত্যেককে তুলে দেয়া হয় ১০ হাজার টাকার সম্মাননাও।
ছবি: জাকির সবুজ