নতুন বছরের প্রথম মাস প্রায় শেষের দিকে। বছরটি নিয়ে অনেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা করে রেখেছেন। এটা করবেন, সেটা করবেন আরও কতো কী! জায়েদ খানও এর ব্যতিক্রম নন।
তিনি জানালেন, ২০২৪ সালের সঠিক ব্যবহার করতে পুরো বছরের কী কী করবেন ইতোমধ্যে ছক এঁকে ফেলেছেন।
চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপে জায়েদ খান বলেন, যেহেতু আমি সিনেমার মানুষ তাই এ বছর অবশ্যই দুই-তিনটি করবো। কী কী ছবি করবো সেগুলোর ব্যাপারে মিটিং করছি। সত্যি কথা বলতে, সিনেমা অফার পাচ্ছি আবার ওয়েব সিরিজেও ডাক পাচ্ছি। কিন্তু মন মতো হচ্ছে না, সম্মানীর একটা বিষয়ও থাকে। এসবের মধ্য থেকে বেছে দুই-তিনটি ছবি করবো। আমার ‘সোনার চর’সহ আরও তিনটি ছবি রেডি আছে, ওগুলো মুক্তি পাবে।
সিনেমার পাশাপাশি জায়েদের ইচ্ছে, এ বছরটায় তিনি পৃথিবী ঘুরবেন। কথায় কথায় বললেন, গতবছর আমেরিকা, দুবাই, মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। ফেব্রুয়ারিতে দুবাই যাবো। সেখান থেকে পৃথিবী ঘোরা শুরু হবে। সোমবার কানাডার ১০ বছরের ভিসা পেয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ও সিডনীতে শো করবো। এছাড়া লন্ডনেও আমন্ত্রণ আছে। সেখানে থেকে ইউরোপের কয়েকটি দেশে ঢুঁ দিয়ে আসবো। এ বছর একপ্রকার পৃথিবী ঘোরা হয়ে যাবে!
এতো বিদেশ সফর কেন? ‘অন্তর জ্বালা’ ছবির নায়ক জায়েদ বলেন, আমি তো প্রবাসীদের ভালোবাসার টান ও আমন্ত্রণে যাই। হাজার হাজার প্রবাসী আমাকে দেখতে আসে। তাদের কাছে গেলে কী যে ভালো লাগে সেটা ইন্টারভিউয়ে বলে বোঝানো যাবে না। অনেকে বলে, কণ্ঠশিল্পীদের বিদেশে শো-তে নিলে তারা গান করে, কিন্তু নায়করা কী করতে পারবে? আমি সেই ধারণা অনেকটা চেঞ্জ করে দেখিয়েছি নায়করা কীভাবে স্টেজ জমাতে পারে।
“বিদেশে শো আমার কাছে ‘রথ দেখা আর কথা বেচা’র মতো। প্রবাসীদের সঙ্গে এনজয় করতে পারি আবার নিজে নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে পারি। আর প্রবাসীদের আমার নাচ, কথাবার্তা কর্মকাণ্ডে ভীষণ মজা পায়; যেটা সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যাবে না। যদি আমাকে নিয়ে মজাই না হয় তাহলে তো আমি এতো এতো বিদেশ ট্যুরের ডাক পেতাম না। আমাকে নিতে হলে বিমানে বিজনেস ক্লাসের টিকেট দিতে হবে এবং উচ্চ সম্মানি তো আছেই! তাছাড়া ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা সেই সঙ্গে যেখানে যাই বাউন্সার প্রটোকল তো থাকেই। যেটা সর্বশেষ অনেকেই মালয়েশিয়াতে দেখেছেন!”
ইতোমধ্যে ৩২টির বেশি দেশে গেছেন জায়েদ খান। নায়ক হওয়ার পর ২০০৭ সাল প্রথমবার সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। জায়েদ বলেন, প্রথমবার বিদেশ যাওয়ার অনুভূতি ছিল অনেক সুখকর। এখন তো প্রায়ই যাচ্ছি। ইউরোপের ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন, স্পেনে আগেই গিয়েছি।
জায়েদ খান সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পান এফডিসির শিল্পী সমিতির নির্বাচনের মাধ্যমে। শোনা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চে আবার শিল্পী সমিতির নির্বাচন হতে পারে। আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা সেই বিষয়টি এখনই পরিষ্কার করলেন না জায়েদ খান। উত্তর দিলেন এভাবে, “আসলে দেশ বিদেশ ঘোরা মানেই যে নির্বাচন করা যাবে না এমনটা তো না। বাইরে গেলে অল্প ক’দিনের জন্য যাই। যেহেতু আমি শিল্পী আমাকে সবদিকে ব্যালেন্স করে চলতে হবে।”
“অনেকেই বলে আপনার কাজ কম কেন? আসলে এই সমিতিতে এতো ফোকাস ছিলাম যে কাজে মনোযোগ দিতে পারিনি। এখন সবদিকে ব্যালেন্স করে চলবো। আর নির্বাচন করবো কিনা এটা আমার সিনিয়রদের পরামর্শ নিয়ে বলতে পারবো। ডিপজল ভাই, রুবেল ভাই, মিশা ভাইরা আমার অভিভাবক। তারা যদি আমাকে নির্বাচন করতে বলে করবো। নির্বাচন নিয়ে কখন কী করণীয় সেটা আসলে সময়ই সব বলে দেবে।”