বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তির শুরু থেকে ঘোর বিরোধিতা করছেন জায়েদ খান। এমনকি বছর নয় আগে এই নায়ক কাফনের কাপড় পড়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। দু-বছর আগে শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি থাকাকালীন জায়েদ কমিটির সকলকে ডেকে হিন্দি ছবির পক্ষে না যেতে মতামত দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এফডিসির সবগুলো সংগঠন মতামত দিয়েছে, শর্ত মেনে বাংলাদেশে হিন্দি ছবি আনতে পারবে। সেই মতামত মৌখিকভাবে আমলে নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। তবে জায়েদ এখনও বলছেন, তিনি এদেশে হিন্দি ছবির বিপক্ষে। তার কথা, হিন্দি ছবি না এনে আমাদের উপযুক্তভাবে তৈরি করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় চলচ্চিত্র প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চে একা পারফর্ম করবেন জায়েদ। অনুষ্ঠানটি সফল করতে আয়োজক কমিটিতে আছেন জায়েদ খান।
আগেরদিন বুধবার মহড়ায় অংশ নিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে জায়েদ হাজির হয়েছিলেন। সেখানে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে আলাপে জায়েদ খান বলেন, সমিতির চেয়ারের আগে শিল্পী হিসেবে আমার অনেক অর্জন। সেই কারণে জাতীয়ভাবে আয়োজিত এমন কমিটিতে থাকতে পারছি।
জায়েদ জানান, এফডিসি থেকে এই কমিটিতে আছেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত, শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমিসহ অনেকে। তিনি জানান, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে এককভাবে নাচবেন ‘পিচ ঢালা পথটাকে ভালোবাসেছি’ গানটিতে।
মহড়ার ফাঁকে জায়েদের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশে হিন্দি ছবির মুক্তি প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ লাভে আমি শুরু থেকে হিন্দি ছবির বিপক্ষে। সবসময় চাইবো হিন্দি ছবি যাতে না আসে।
জায়েদ বলেন, গত ১৬ দিন মুম্বাই গিয়েছিলাম কাজে। সেখানে এ ক’দিন থেকেই হিন্দি ভাষা শিখে গেছি। আমাদের হলগুলোতে হিন্দি ছবি চললে শিশুরা হিন্দি ভাষা শিখবে। বাংলা সংস্কৃতি চর্চা ভুলতে শুরু করবে। যে ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া হলো, যুদ্ধ করা হয় সেই ভাষা হারিয়ে যাবে। হিন্দি ছবি আনার চেয়ে আমাদের তৈরি করেন।
জায়েদ মনে করেন, শত কোটি ব্যয়ে নির্মিত হিন্দি ছবি বাংলাদেশে এলে এদেশের সিনেমা ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, পাঠান এলে ‘ওরা সাতজন’ নামে যে সিনেমাটি রিলিজ হলো সেটার অবস্থা কী হতো? কোনো হল পেত? আর আমাদের দেশে হল নামে যেসব গোটাউন আছে সেগুলো ঠিক করে ভালো পরিবেশ দেন, দেখবেন দর্শক বাংলা ছবি দেখতে আসবে। এক পাঠান নিয়ে লাফিয়ে লাভ নেই। সব ছবি হিট হয় না। শেহজাদা, সেলফি সবগুলো ফ্লপ গেছে।
কোন উদ্দেশ্যে মুম্বাই গিয়েছিলেন? জানতে চাইলে মুচকি হেসে জায়েদ খান বলেন, সেটা শিগগির জানা যাবে। কদিন পর আবার যাবো। তবে গিয়ে অনেক কেনাকাটা করেছি। যতদিন সংসার না করছি আমি ইয়াং। ব্যাচেলর থাকলে সংসার সামলাতে হয়। তাই নিজেকে ফ্যাশন সচেতনভাবে তুলে ধরি। তাছাড়া সংসার করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি লাগে সেই প্রস্তুতিটা আমার আসলে হয়নি। কবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হবে সেটা সময় বলে দেবে।