প্রায় ৫ বছর পর আবারও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)’র মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠক শুরু হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকটির উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি আইওয়ালা বলেছেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ গোটা বিশ্বকে সে সংকটে ফেলেছে তার সমাধান এক বা দুটি দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। দেশে দেশে মানুষকে প্রায় দুর্ভিক্ষ অবস্থা থেকে বাঁচাতে হলে ছোট বড় সব দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংঘাতের অনিবার্য পরিণতি মনে করিয়ে বিশ্ব নেতাদের একগুয়েমি ত্যাগ করার আহবান জানিয়েছেন ডব্লিউটিও মহাপরিচালক।
প্রায় প্রতিবারই নিষ্ফল আলোচনায় শেষ হয় এই বৈঠক। এবার ওমিক্রনের সংক্রমনে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের বৈঠকটি পিছিয়ে শুরু হলো রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের সময়ে। কাজেই সম্মেলনের উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলন এবং মন্ত্রীদের বৈঠকে ডব্লিউটিও মহাপরিচালক এনগোজি আইওয়ালা রাখঢাক ছাড়াই বলেন ক্ষমতাধর দেশগুলো জেদ করে যেন সবাইকে হতাশায় ডুবিয়ে না দেয়।
স্বল্পোন্নত দেশের লজ্জা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে গেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগে কিছু সুবিধা হারানোর শংকার সাথে সাথে বাংলাদেশের জন্য থাকছে পশ্চিমা দেশের বাজারে রপ্তানি সুবিধা, কৃষি বিশেষ করে মৎস্যখাতে ভর্তুকি দেওয়া, উন্নত দেশ থেকে কম খরচে ওষুধ উৎপাদনে সহযোগিতা পাওয়ার অগ্রাধিকার।
ডব্লিউটিও সম্মেলন শেষ হবে বুধবার।