পাঁচ বা ছয় দল নিয়ে মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক আসর ‘বাংলাদেশ ওমেন্স সুপার লিগ-২০২৩’ হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। ৪ দল নিয়ে আগামী ১৫ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ঢাকায় আয়োজিত হবে আসরটি।
শনিবার বাফুফে ভবনে সুপার লিগের লোকাল অর্গানাইজিং কমিটি সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। থাকছে ফাইনালও। লিগ পদ্ধতির খেলা শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল নিয়ে হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
মানসম্পন্ন লিগ আয়োজনের তাগিদে দল কমিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বলেছেন, ‘প্রথম আসর ছোট পরিসরে আয়োজন করছি। কারণ, মানের দিকে কোনো আপোষ করতে চাই না। লিগের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতেই ছোট পরিসরে আয়োজন করা হচ্ছে।’
ঢাকা ও সিলেটে আসরটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে ঢাকাতে। তবে এখনও নির্ধারিত হয়নি ভেন্যু। এমনকি চূড়ান্ত হয়নি চার দলও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ক্লাবগুলোর দুই-একটি বাংলাদেশ ওমেন্স সুপার লিগে দল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কিরণ।
‘প্রিমিয়ার লিগে খেলা দুই-একটি ক্লাবের মালিক পক্ষ এবারের আসরে দল কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তাদের নাম এখনই বলতে পারছি না। কারা দল নিচ্ছে, খেলা কোথায় হচ্ছে এগুলো আমরা আগামী সপ্তাহে জানিয়ে দিব।’
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথমবার মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবলের আসরে প্রতিটি দলে থাকবে ১৭ জন খেলোয়াড়। ১২ দেশি ও ৫ বিদেশি খেলোয়াড় স্কোয়াডে রাখা যাবে। দেশি ফুটবলারদের মধ্যে জাতীয় দলের টায়ার ওয়ানের তিনজন, টায়ার টুয়ের ১০ জন এবং টায়ার থ্রিয়ের ৪ জনকে রাখা যাবে। বাকি দুজন হবেন জাতীয় দলের বাইরের ফুটবলার।
বিদেশিদের মধ্যে থেকে ৫ জন আন্তর্জাতিক ফুটবলার রাখা যাবে। যার ভেতর দুজনকে অবশ্যই সাউথ এশিয়া অঞ্চলের জাতীয় দলের খেলোয়াড় হতে হবে। এশিয়ান কাপ, ইউরো, অলিম্পিক, এমনকি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের মধ্যে থেকে বাকি ৩ ফুটবলার নেয়া যাবে।
প্রতিটি দলের হেড কোচ এবং ফিজিক্যাল ট্রেনার হবেন বিদেশি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। টিম ম্যানেজার, ডিরেক্টর, ফিজিও এবং গোলরক্ষক কোচ হবেন দেশি। সব দলের সহকারী কোচ হবেন দেশি এবং একজন নারী।