চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

উইম্বলডনের চ্যাম্পিয়ন রাইবাকিনা বললেন, জন্মের উপর হাত নেই

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের জেরে এবার উইম্বলডনে রাশিয়া ও বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা অংশ নিতে পারেননি। মেয়েদের বিশ্ব টেনিসের শীর্ষ ২০-এ থাকা তিন ও ছেলেদের শীর্ষ ১০-এ থাকা দুই টেনিস তারকা তাই এবারের আসরে ছিলেন না।

তবে রাশিয়ার নাগরিক হয়েও এবার উইম্বলডনের মেয়েদের এককে অংশ নিয়ে বাজিমাত করেছেন এলেনা রাইবাকিনা। মস্কোতে জন্ম নেয়া রাইবাকিনা ২০১৮ সালে কাজাখস্তানের নাগরিকত্ব লাভ করেন। কাজাখস্তানের হয়ে খেলায় তার উইম্বলডনের খেলতে বাধা ছিল না। সুযোগ কাজে লাগিয়ে হলেন চ্যাম্পিয়ন। ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামও একইসঙ্গে জেতা হয়ে গেল।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

শনিবার মেয়েদের এককের ফাইনালে তিউনিসিয়ার অনস জাবেউরের বিপক্ষে প্রথম সেটে ৬-৩ ব্যবধানে হেরেছিলেন রাইবাকিনা। প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পরের দুই সেট ৬-২ ও ৬-২ ব্যবধানে জিতে ট্রফি জিতে নেন র‍্যাঙ্কিংয়ে ২৩ নম্বরে থাকা তরুণী।

উইম্বলডনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর রাইবাকিনা বলেন, ‘আমি কোথায় জন্মগ্রহণ করেছি তার উপর আমার হাত নেই। মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেছিল। কাজাখস্তান আমাকে অনেক সমর্থন করেছে।’

সিমোনা হালেপ ও বিয়াঙ্কা আন্দ্রেস্কুর মতো তারকাদের হারিয়ে চমক দেখানো রাইবাকিনা শেষ পর্যন্ত শিরোপাটাই জিতে নিলেন। এমন সাফল্যের পর যেন কথা বলার শক্তিটাই তিনি হারিয়ে বসেছিলেন।

‘আমি আসলে বাকরুদ্ধ। একজন বিজয়ী হওয়া আশ্চর্যজনক। আমি কতটা খুশি তা বলার ভাষা আমার কাছে নেই। এই দুই সপ্তাহে যা ঘটেছে, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত।’

এটি (ফাইনাল) মানসিক এবং শারীরিকভাবে কঠিন ম্যাচ ছিল। তাই শেষ পর্যন্ত আমি খুব খুশি ছিলাম যে ম্যাচ শেষ হয়েছে। এই মুহূর্তে আমি বিশ্বাস করিনি যে জিতেছি। এটা অনেক আবেগের। আমি শুধু নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। আজ আমি খুব চাপে ছিলাম। জয় কীভাবে উদযাপন কোর্টে হয়, জানি না।’

২৩ বর্ষী রাইবাকিনা ২০১১ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলেন। যদিও ছোটবেলায় তিনি জিমন্যাস্ট এবং আইস স্কেটার ছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল, তার উচ্চতার (৬ ফুট) কারণে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সফল হবে না। বাবার উৎসাহে রুশ কন্যা টেনিসে মনযোগী হন।

স্কুল ছাড়ার পর রাইবাকিনা জীবনে টার্নিং পয়েন্ট আসে। তার বাবা চেয়েছিলেন মেয়েকে কলেজে ভর্তি করাতে, যদিও আর্থিক সঙ্কট নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এ সময় আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার অনেক অফার আসছিল। কাজাখস্তান টেনিস ফেডারেশন তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার প্রস্তাব দেয়। বিনিময়ে রাইবাকিনা কাজাখস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০১৯ সালে বুখারেস্টে প্রথম ডব্লিউটিএ খেতাব জিতেছিলেন।