হাল ছেড়ে না দেয়ার মানসিকতা কীভাবে সফলতার দুয়ারে কাউকে পৌঁছে দেয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ নোভাক জোকোভিচ। উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দুই সেট হারের পর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। সেমিতে প্রথম সেট ৬-২ ব্যবধানে হারলেন। পরের তিন সেট ৬-৩,৬-২ ও ৬-৪ ব্যবধানে জিতে ঠিকই ফাইনালে গিয়ে গড়লেন ইতিহাস।
র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে থাকা ব্রিটিশ খেলোয়াড় ক্যামেরন নরিকে হারিয়ে ছেলেদের এককে সর্বাধিক ৩২ বার ফাইনালের টিকিট কেটে জোকোভিচ নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিলেন। সবমিলিয়ে তিনি তৃতীয় সর্বাধিকবার ফাইনালে পা দিলেন। মেয়েদের এককে সবচেয়ে বেশি ৩৪ বার ফাইনাল খেলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের ক্রিস এভার্ট। ৩৩ বার ফাইনালে লড়েছেন আরেক মার্কিন তারকা সেরেনা উইলিয়ামস।
ঘাসের কোর্টে টানা ২৭ জয়ের পর র্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বর স্থানে থাকা জোকোভিচ সেমিফাইনাল নিয়ে জানান প্রতিক্রিয়া। প্রথম সেটে হারের পর যে মনের কোণে শঙ্কার মেঘ জমেছিল, জোকোভিচ তা মোটেও আড়াল করেননি। ফাইনাল জয়ের আগে পা মাটিতেই রাখছেন।
‘আমি সবসময় বিশ্বাস করছিলাম, ম্যাচ ঘোরাতে পারবো এটি আশ্চর্যজনক যে কীভাবে পুরো খেলাটি পড়ন্ত হতে পারে। কারণ আপনি অনুভব করছেন যে দুশ্চিন্তায় আছেন। তারপরে কোনো শট সত্যিকার অর্থেই সঠিকভাবে কাজ করছিল না। আপনার পা স্থির এবং ধীর হয়ে যাচ্ছে।’
‘আপনি যতো বেশি এই ধরনের পরিস্থিতি অনুভব করবেন, ততটা ভালো অনুভব করবেন না। তবে আপনি আরও প্রস্তুত অনুভব করবেন। কী আশা করবেন তা আপনি জানেন। এটি সবসময় প্রতিপক্ষের চেয়ে আপনার নিজের স্নায়ুকে আসলেই ভালোভাবে পরিচালিত করে। নিজেদের ভেতরকার লড়াইটা আসলেই সর্বশ্রেষ্ঠ। কাজ শেষ হয়নি।’