পটুয়াখালীতে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্ত্রী। প্রেমের বিয়ের পর থেকে স্বামীর বেকারত্বের কারণে দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অশান্তি, সারাক্ষণ মারপিট, ঘন ঘন বাবার বাড়ী পাঠিয়ে সেখানে গিয়েও নির্যাতন, শশুড় বাড়ীর লোকজন সুরক্ষা না দেওয়ায় তিনি অতিষ্ট হয়ে বটি দিয়ে কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান।
গতকাল (১ মার্চ) শুক্রবার রাতে পটুয়াখালী জেলা শহরের কলাতলা (৩য় লেন) আকন বাড়ী সড়কের ভাড়া বাসা থেকে স্বামী রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। তার স্ত্রী মীম সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের মো. জুয়েলের সন্তান। রাকিব ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের সন্তান। নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ পটুয়াখালী শহরে বসবাস করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনার আগের দিন মীম ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে গেলে শুক্রবার বিকেলে মীমকে নিয়ে বাসায় ফেরেন রাকিব। এরপরই খুন হন রাকিব এবং থানায় গিয়ে আত্মসমাপর্ণ করেন মীম। তিনি খুনের স্বীকারোক্তি দিলেও এর পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে। মীমকে স্বীকারোক্তির জন্য আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করবে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ৬ মাস আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মীম ও রাকিব। বিয়ের পর ভাড়া বাসায় ওঠার পর থেকেই পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাকিবের মা বাসা ছেড়ে অন্য ছেলের বাসায় চলে যান। মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তিসহ নানা অভিযোগ ও গুঞ্জন আছে মীম এবং রাকিবের বিরুদ্ধে। মীমের এর আগেও বিয়ে হয়েছিল।
অন্যদিকে রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে বাবা মারা যাওয়ার খবরে শনিবার সকালে তার মরদেহ দাফনের জন্য ভোলা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন। এরই মধ্যে সন্ধায় ছেলে খুন হওয়ায় শোকে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।