
রাজনীতিবিদদের ব্যক্তি স্বার্থ পরিহার করে জনমানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘প্রজন্মের চেতনা’। মানববন্ধনে বক্তাদের প্রশ্ন অনড় অবস্থান ও নাশকতায় জাতীয় ক্ষয়-ক্ষতির দায়ভার নিবে কে?
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা এ আহ্বান ও প্রশ্ন তোলেন। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এম রাশেদ রাব্বি।
সংগঠনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ গোলাম নবী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক চর্চা হয় জনগণের কল্যাণে আর আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের একগুয়েমির কারণে জনমানুষ আজ আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। সরকার বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন আর বিরোধীরা নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থেকে সরকার পতনের জন্য গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেশের সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে পণ্য উৎপাদন-বাজারজাতকরণ, রপ্তানী ও সেবাখাতের উপর। শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা ও ক্লাসনিয়ে উদ্বিগ্ন। জনমানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে, দৈনন্দিন খরচ বেড়ে গেছে।

বক্তারা বলেন, দেশকে বিভ্রান্তি আর অরাজকতার হাত থেকে রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হলে জাতীয় স্বার্থেই সরকার আর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয় বিরোধী দলগুলোরও দায়-দায়িত্ব আছে। জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখতে সরকারকেও আন্তরিক হতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্যই রাজনীতিতে জ্বালাও-পোড়াও-এর পরিবর্তে নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যদিয়ে মতপার্থক্য ও সঙ্কট নিরসন করা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক ছালেক-উর-রহমান (সুমন), সদস্য মো. মাসুদ আলম, আবদুল আলীম পার্থসহ অন্যান্যরা।
বিজ্ঞাপন