বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ৩০০টিরও বেশি দেশে কাশির সিরাপ পান শিশুর মৃত্যুর সাথে জড়িত কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছে বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি।
তিনি বলেন: ভারত এবং ইন্দোনেশিয়ার ছয়টি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কাঁচামাল সম্পর্কে আরও তথ্য চাইছে তারা। সেইসাথে কোম্পানিগুলি একই সরবরাহকারীর কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করছে কিনা সেই ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখছে তারা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সরবরাহকারীর নাম জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিবারগুলিকে শিশুদের জন্য কাশির সিরাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুনঃমূল্যায়ন করার পরামর্শ দেওয়া হবে কি না বা এই জাতীয় পণ্যগুলি শিশুদের জন্য চিকিত্সা ক্ষেত্রে কখন কিভাবে ব্যবহৃত হবে তা এখনও জানা যায়নি।
২০২২ সালের জুলাই মাসে গাম্বিয়াতে তীব্র কিডনি প্রদাহের কারণে শিশু মৃত্যু হয়। এরপর ইন্দোনেশিয়া এবং উজবেকিস্তানে একই ঘটনা ঘটে। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই শিশুরা সাধারণ অসুস্থতার জন্য ওভার ডোজ কাশির সিরাপ গ্রহণ করেছিল যাতে ডাইথাইলিন গ্লাইকল বা ইথিলিন গ্লাইকল নামক একটি পরিচিত টক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এখন পর্যন্ত ডব্লিউএইচও ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় ছয়জন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে যারা এ সকল সিরাপ তৈরি করেছিল। এই প্রতিষ্ঠানগুলো তদন্তের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা দূষিত উপকরণ ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ডব্লিউএইচও ইতিমধ্যেই ২০২২ সালের অক্টোবরে এবং এই মাসের শুরুতে মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস এবং মেরিয়ন বায়োটেক নামক দুটি ভারতীয় ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দ্বারা তৈরি কাশির সিরাপ গ্রহনে নির্দিষ্ট সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলেছে, তাদের সিরাপগুলি যথাক্রমে গাম্বিয়া এবং উজবেকিস্তানের শিশু মৃত্যুর সাথে জড়িত ছিল এবং সতর্কতা জানিয়ে তারা মানুষকে সেগুলির ব্যবহার বন্ধ করতে বলেছিল।
বর্তমানে মেডেন এবং মেরিয়নের উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেডেন এখন আবার তাদের কারখানা খুলতে চাইছে। ভারত সরকার গত ডিসেম্বরে জানায়, তাদের পরীক্ষায় মেডেনের পণ্যগুলিতে কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি।