দীর্ঘ ৬৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওয়েলসকে বিশ্বকাপ মঞ্চে তুলেছেন রায়ান গিগস। তবুও আক্ষেপ ঘোচাতে পারলেন না। বিশ্বকাপের আগেই দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
১৯৫৮ সালের পর আর কখনো বিশ্বকাপে পা রাখেনি ওয়েলস। ২০১৮ সালে এরকম একটি দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক মিডফিল্ডার। তার অধীনেই ওয়েলস দলে লাগে পরিবর্তনের ছোঁয়া। গ্যারেথ বেল পেয়েছেন প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ। পিছনের কাজটা করেছিলেন ৪৮ বর্ষী। সব যখন প্রস্তুত দল যখন ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে মাঠে নামবে, সেরকম সময় ঘোষণা দিলেন পদত্যাগের।
২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকেই কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন গিগস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাক্তন বান্ধবীকে নিয়ন্ত্রণ ও জবরদস্তিমূলক আচরণ করা, সেই সাথে আক্রমণ এবং শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা। তবে বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করছিলেন তিনি। পরে মামলার সুরাহা না হলে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন গিগস। শেষমেশ পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন।
‘জাতীয় দল পরিচালনা করা একটি সম্মান এবং বিশেষাধিকারের বিষয়, তবে এটি ঠিক যে ওয়েলস এফএ, কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়রা তাদের প্রধান কোচের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত, কাজেই জল্পনা ছাড়াই তারা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি সৌভাগ্যবান গত তিন বছর জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকাকালীন বেশ কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরেছি। আমি আমার রেকর্ডের জন্য গর্বিত এবং চিরকাল সেই বিশেষ সময়গুলোকে লালন করব। আমি দুঃখিত আমরা একসাথে এই যাত্রা চালিয়ে যেতে পারিনি। আমি বিশ্বাস করি এই অসাধারণ দলটি ১৯৫৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপে দেশকে গর্বিত করবে।’

দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও আগামীতে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গিগস। একই সাথে দলকে বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখার জন্য উন্মুখ তিনি।
‘আমি ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে শুনানি হওয়া ফৌজদারি অভিযোগের জন্য দোষী নই। আমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুনরায় শুরু করতে চাই। কারও দোষের কারণে মামলাটি বিলম্বিত হয়নি। আমি চাই না এই মামলাকে ঘিরে ক্রমাগত আগ্রহের কারণে বিশ্বকাপের জন্য দেশের প্রস্তুতি কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত, অস্থিতিশীল বা বিপন্ন হোক। আমার উদ্দেশ্য হল আমার কোচিং ক্যারিয়ার আবার শুরু করা। আমি স্ট্যান্ডে আপনাদের পাশাপাশি আমাদের দলকে বিশ্বকাপে দেখার জন্য উন্মুখ।’