একটা সময় বলিউডের ক্রেজ হয়ে উঠেছিলেন বলিউড অভিনেতা বিবেক ওবেরয়। দর্শকদের ‘সাথিয়া’, প্রিন্স’, ‘মাস্তি’সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তবে নিজের কাজ দিয়ে যতটা না আলোচনায় এসেছিলেন, তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিলেন বলিউড নায়িকা ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে।
এই সম্পর্কের কারণে সালমান খানের সঙ্গেও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবেক ওবেরয়। কারণ, ঐশ্বরিয়া একসময় সালমানেরও প্রেমিকা ছিলেন। ভেঙে গিয়েছিল সে সম্পর্ক। তার পরই বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বরিয়া, যা মানতে পারেননি সালমান। আর সেটিই যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিবেকের ক্যারিয়ারের জন্য।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেককে প্রশ্ন করা হয় ঐশ্বরিয়া নিয়ে। জানতে চাওয়া হয়, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই যদি তিনি ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে প্রকাশ্যে না আনতেন, তাহলে কি ব্যাপারটা অন্যরকম হতো? মুখে হাসি নিয়েই এই প্রশ্নের জবাব দেবেন না বলে জানিয়ে দেন অভিনেতা।
বিবেক বলেন, ‘আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি না, কারণ এটা এখন অতীত এবং ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে। তবে তরুণদের জন্য কিছু উপদেশ রয়েছে আমার। যারা আমার সাক্ষাৎকার দেখছেন একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, আপনি যদি সত্যিই আপনার কাজের প্রতি মনযোগী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন এবং আপনি যদি এটিকে নিজের শতভাগ দিয়ে থাকেন, আমি এটা অনেক জায়গাতেই ঘটতে দেখেছি, আমার একমাত্র উপদেশ হল যে খেয়াল রাখবেন আপনার পেশাদারিত্বের উপর তারা যাতে আক্রমণ করতে না পারে, যাতে আপনার প্রতিভার উপর আক্রমণ করতে না পারে, যদি তারা আপনার কাজের উপর আক্রমণ করতে না পারে তাহলে যেন আপনার জীবনের অন্য কোনো দিকেও আক্রমণের সুযোগ না পায়। কারণ এটা কাজের প্রতি আপনার ফোকাসকে নষ্ট করবে।’
সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া প্রসঙ্গ ওঠে কয়েক দফায়। যখন বিবেকের কাছে প্রশ্ন যায়, কেন তিনি নিজের বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত বচ্চন-বধূর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধই রেখেছিলেন।
এর জবাবে অভিনেতা বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আপনি যদি চান লোকেরা আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কথা না বলুক, আপনি যদি চান সকলে এর প্রতি সংবেদনশীল হোক, তাহলে সবার আগে আপনাকে নিজেকে এটা নিয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে।’
২০০৩ সালে একে-অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান বিবেক আর ঐশ্বরিয়া। এরপর ২০১০ সালে বিবেক বিয়ে করেন প্রিয়াঙ্কা আলভাকে, যিনি কর্নাটকের মন্ত্রী জীবরাজ আলভার কন্যা। এখন দুই সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস