মৃত্যুর সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরেই পাঞ্জা লড়ছিলেন ভারতীয় বর্ষীয়ান অভিনেতা বিক্রম গোখলে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শনিবার পুনের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পুনের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিক্রম গোখলে। গত বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কোমায় চলে যান অভিনেতা। তাকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে।
এরমধ্যে বেশ কয়েকবার তার মৃত্যুর ভুয়া খবর রটে যায়। পরে তার স্ত্রী জানান, এখনও লড়াই চালাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। এরপর শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) তার শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু শনিবার সব লড়াইয়ে ইতি টেনে অনন্তলোকের পথে যাত্রা করেন ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ খ্যাত অভিনেতা।
বিক্রম গোখলে একদিকে ছিলেন অভিনেতা, অন্যদিকে ছিলেন পরিচালক। মঞ্চের সঙ্গে ছিল তার নিবিড় যোগ। পুনেতে একটি অ্যাক্টি অ্যাকাডেমি রয়েছে তার। ভবিষ্যত প্রজন্মকে অভিনয় শেখাতের বছরের পর বছর।
১৯৪০ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম বিক্রম গোখলের। ছোট থেকেই অভিনয়ের জগতেই বড় হয়েছেন তিনি। তার বাবা চন্দ্রকান্ত গোখলে মারাঠি থিয়েটার এবং সিনেমার উল্লেখযোগ্য নাম ছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রয়াত অভিনেতার প্রপ্রিতামহী দুর্গাবাই কামাথ ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী। এক কথায় অভিনয় তার রক্তে। পূর্বপুরুষদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে ১৯৭১ সালে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায় তার পদার্পণ। প্রথম ছবি ছিল ‘পরওয়ানা’।