ইতালির ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার জিয়ানলুকা ভিয়াল্লি (৫৮) ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার তার সাবেক ক্লাব সাম্পদোরিয়া খবরটি জানায়।
ভিয়াল্লি ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়া এবং জুভেন্টাসের পাশাপাশি ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে দুর্দান্ত ক্যারিয়ার গড়েছিলেন। আজ্জুরিদের হয়ে খেলেছেন ৫৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ, করেছেন ১৬ গোল। ১৯৮৬ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। ক্লাব ফুটবলে ৬৭৩ ম্যাচে করেছেন ২৫৯ গোল।
২০১৭ সালে তিনি প্রথমবার অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা শেষে একবছর পর সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। পরে আবারও তার শরীরে ক্যান্সারের উপাত্ত মেলে।
১৯৯২ সালে সাম্পদোরিয়াকে ১৬.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে ভিয়াল্লিকে দলে টেনেছিল জুভেন্টাস। সেসময় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ট্রান্সফারের রেকর্ড গড়েছিল যেটি। পরে চেলসিতে দারুণ সফল সময় পার করে ক্যারিয়ারের শেষ টানেন।
’৮০-এর দশকে বেশিরভাগ সময় এবং ’৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি সাম্পদোরিয়াতে খেলার সময় রবের্তো মানচিনির সঙ্গে জুটি গড়ে স্ট্রাইকিং পজিশনে প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। যে জুটির ডাকনামই হয়ে গিয়েছিল ‘গোল টুইনস’।
সাম্পদোরিয়াতে আট বছর খেলে তিনি একবার সিরি আ, একবার উইনার্স কাপ এবং তিনবার ইতালিয়ান কাপ জিতেছেন। ১৯৯৬ সালে জুভেন্টাসের জার্সিতে চেলসির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার স্বাদ পান। একই বছর ব্লুজদের ডেরায় যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে রুদ খুলিত চেলসির কোচের পদ থেকে বরখাস্ত হলে ভিয়াল্লি খেলার পাশাপাশি একইসঙ্গে দলের কোচের দায়িত্বও সামলান।
পরে তিনি চেলসির লিগ কাপ, উয়েফা কাপ, উইনার্স কাপ এবং উয়েফা সুপার কাপে ভূমিকা রাখেন। কোচ হিসেবে ২০০০ সালে ইংলিশ জায়ান্টদের হয়ে এফএ কাপ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেও পরের মৌসুমেই বরখাস্ত হন।
২০১৯ সালে কোচ রবের্তো মানচিনির সঙ্গে ইতালির হেড অব ডেলিগেশন হিসেবে দায়িত্ব পান ভিয়াল্লি। ২০২১ সালে ইতালির ইউরোজয়ী দলের অংশ ছিলেন।
গত মার্চে প্রচারিত একটি নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারিতে ভিয়াল্লি ক্যান্সারকে একজন ভ্রমণ সঙ্গী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘আমি জানি যে সম্ভবত বার্ধক্যে মারা যাব না। যতদিন সম্ভব বেঁচে থাকার আশা করি। তবে আগের চেয়ে অনেকবেশি ভঙ্গুর বোধ করছি।’
‘আপনি নিজে কে, সেই সম্পর্কে অনেককিছু শিখিয়ে দিতে পারে অসুস্থতা। আমরা যেভাবে বাস করি তার বাইরে যেতে আপনাকে চাপ দিতে পারে।’ বলেছিলেন ভিয়াল্লি।