ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইরানের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও কয়েকটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মূলত, ইসরায়েলে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ড্রোন কর্মসূচির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশ দুটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) টাইমস অফ ইন্ডিয়াসহ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, এদিন একযোগে এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তেল আবিবের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত দেশগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং দু’প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তারা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলে হামলা করায় ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। আঞ্চলিক এই জোটের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল এ কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ঘটনায় ইরানের কয়েকজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার রাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। বড় ধরনের এই হামলায় ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান।