যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ইউসি হেস্টিংস কলেজ অফ দ্য ল এর অধ্যাপক জর্জ বিশারত বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনিদের জীবন সম্পর্কে একদমই চিন্তিত নয়। এমনকি ফিলিস্তিনে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরও মার্কিন সরকার ইসরায়েলর ওপর কোন ধরনের চাপ প্রয়োগে অনাগ্রহী।
আলজাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশারত মনে করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে শুধুমাত্র তাদের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার্থে হস্তক্ষেপ করে।
জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের সময় তার পররাষ্ট্র নীতিতে মানবাধিকারকে কেন্দ্রীভূত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায়, তার প্রশাসন ইসরায়েলের জন্য মার্কিন সমর্থন জোরদার করায় অধিক মনযোগী।
মার্কিন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপন্সিবল স্টেটক্রাফ্টের গবেষণা ফেলো অ্যানেল শেলাইন আল জাজিরাকে বলেছেন, সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতি ইসরায়েলের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর ভিত্তি করে নির্মীত। আমি প্রশাসনের কাছ থেকে এমন কোন উদ্যোগ বা প্রবণতা দেখি না যে তারা ইসরায়েলের ওপর কোন প্রকার চাপ প্রয়োগে করবে।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের কয়েক দশক ধরে দখলদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে অনেক ফিলিস্তিনি।
গত সপ্তাহে একজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ৭ জন ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা করে। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত এক মাসে ৮ শিশুসহ ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত। এঘটনায় সম্প্রতি ইসরায়েল সফরে আসা এক মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা ব্লিঙ্কেনকে এক আলোচনায় ইসরায়েলের পক্ষেই কথা বলতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের পরম বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে তারা।