বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেন কোর্টে গড়াচ্ছে। আসর শুরুর আগে দৃষ্টি আটকে কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের দিকে। এটা তার শেষ টুর্নামেন্ট। শেষ হতে চলেছে টেনিসের আলোকিত এক যুগের।
১৯৯৯ সালে ফ্ল্যাশিং মিডোর আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথমবার গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন সেরেনা। কাকতালীয়ভাবে সেই আর্থার অ্যাশেই হতে চলেছে ৪০ বর্ষী গ্রেটের ক্যারিয়ার সমাপ্তি।
সেরা সময় অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছেন সেরেনা। চোট এবং বয়সের ধকলে চিরচেনা সেরেনাকে কোর্টে এখন আর পাওয়া যায় না। সাবেক নাম্বার ওয়ানের বর্তমান র্যাঙ্কিং ৪০৭। মেয়েদের এককে ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী তিনি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় র্যাঙ্কিংয়ের ৮০ নম্বরে থাকা মন্টেনেগ্রোর ডাঙ্কা কোভিনিচের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়ে নামবেন সেরেনা। এই ম্যাচে হারলেও সেরেনার ইউএস ওপেন যাত্রা শেষ হবে না।
আয়োজকরা নিশ্চিত করেছেন, ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি পাওয়ায় বুধবার থেকে মেয়েদের ডাবলসে বোন ভেনাস উইলিয়ামসের সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলতে পারবেন সেরেনা। সেরেনা-ভেনাস জুটি ১৪টি গ্র্যান্ড স্লাম ও অলিম্পিকে তিনবার স্বর্ণপদক জিতেছেন।
অন্যদিকে, করোনার টিকা গ্রহণ না করায় যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে ইউএস ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। তাতে ক্যারিয়ারের ২৩তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের আশা বেড়েছে রাফায়েল নাদালের। এবছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন। উইম্বলডনে সেমিফাইনালে উঠে ইনজুরির কারণে নাম প্রত্যাহারে বাধ্য হন।
চোট থেকে ফিরে ৩৬ বর্ষী নাদাল কেবল একটি ম্যাচ খেলেছেন। সিনসিনাটিতে বোর্না কোরিকের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে বিদায় নেন। তবে বড় মঞ্চে নাদালের চেনারূপে ফেরার প্রত্যাশা সকলের।
কোরিকের কাছে হারের পরে চারবারের ইউএস ওপেনজয়ী নাদাল বলেছিলেন, ‘আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। নিউ ইয়র্কে দর্শকদের জমায়েত আমাকে যে শক্তি দেয় তা নিয়ে, ভাবনা শুরু করতে হবে। জানি, এটি আমার জন্য একটি বিশেষ স্থান। উপভোগ করি সেখানে। সেখানে আমার অবিস্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে। প্রতিটি দিন আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। সেজন্য আমি প্রস্তুত।’