নির্ধারিত সময়ের পর যুক্ত হয়েছিল আরও নয় মিনিট। পিছিয়ে থাকা ইন্টার মিয়ামি তখন গুনছিল পরাজয়ের প্রহর। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার পূর্ব মুহূর্তে মিয়ামি সমতায় ফেরে। যোগ করা সময়ে পায় জালের দেখা। স্কোরলাইন হয় ২-২। নির্ধারিত খেলা পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়েও দুদল জালের দেখা পায়। ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকে ম্যাচ। পরে টাইব্রেকারে এফসি সিনসিনাটিকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির দল।
এর আগে লিগস কাপের ফাইনালে খেলেছিল মিয়ানি। সেখানেও হয়েছিল টাইব্রেকারের মুখোমুখি। ২২ শটের সেই টাইব্রেকারে শেষপর্যন্ত ১০-৯ ব্যবধানের জয়ে টাটা মার্টিনোর শিষ্যরা শিরোপা জেতে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে টিকিউএল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৮ মিনিটে অ্যারন বুপেন্ডজারের হেডে বল পেয়ে বাঁ-পায়ে জালে জড়ান লুসিয়ানো অ্যাকোস্টা। লিড পায় সিনসিনাটি। বিরতির পর ৫৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে সান্তিয়াগো আরিয়াসের কাছে বল পেয়ে ডান পায়ের দূরপাল্লার শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্র্যান্ডন ভাজকুয়েজ।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মিয়ামি ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করে। ৬৮ মিনিটে মেসির ক্রসে হেডে মিয়ামির হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন লিওনার্দো ক্যাম্পানা। হারতে বসা ম্যাচের যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে মেসির অ্যাসিস্টেই ক্যাম্পানা আবারো হেডে গোল করেন। নাটকীয়ভাবে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
প্রাণ ফিরে পাওয়া মিয়ামি ৯৩ মিনিটে এগিয়ে যায়। বেঞ্জামিন ক্রেমাশির অ্যাসিস্টে বল পেয়ে ডান পায়ের শটে নিশানাভেদ করেন জোসেফ মার্টিনেজ।
নাটকীয়তায় ঠাঁসা ম্যাচের ১১৪ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে নেয়া কিকে সিনসিনাটিকে সমতায় ফেরান ইউইয়া কুবো। পাঁচ মিনিট পর মেসির শট প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক প্রতিহত করলে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।
সিনসিনাটির হয়ে প্রথম পেনাল্টি শ্যুটআউটে লক্ষ্যভেদ করেন কুবো, ইন্টারের হয়ে মেসি। পরের তিন শটে দুদলই পায় জালের দেখা। পঞ্চম শটে সিনসিনাটির নিক হ্যাগ্লান্ডের শট প্রতিহত করেন মিয়ামি গোলরক্ষক। এরপর বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি ডান পায়ের কোণাকুণি শটে বল জালে জড়িয়ে মিয়ামিকে এনে দেন ফাইনালের টিকিট।