এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, ‘বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সহযোগী বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী’।
বৃহস্পতিবার ২ মে রাজেন্দ্রপুরের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড (উসারপাক) এর যৌথ অংশগ্রহণে ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং (টিএল)-২০২৪’র সমাপনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অনুশীলন টাইগার লাইটনিং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করতে সহায়ক হবে।
এছাড়াও প্রধান অতিথি এই অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিপসট ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড’র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জসুয়া লং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও ধারাবাহিক সাফল্য সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এই অনুশীলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণের মান ও পেশাদারিত্ব আমাদের অভিভূত করেছে।
এছাড়াও সমাপনী অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট বিপসট মেজর জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তিনি অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদের দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে অনুশীলন সম্পন্ন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ২০২৪ হতে শুরু হয়ে দুই সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এই অনুশীলনে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মিলিটারি ডিসিশন মেকিং প্রসেস (এমডিএমপি) এবং জাতিসংঘে প্রচলিত মিলিটারি প্ল্যানিং প্রসেস (এমপিপি) এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া দুই দেশের সেনাবাহিনীর নির্বাচিত সদস্যদের কাউন্টার ইম্প্রোভিসিডি এক্সপ্লোসিভে ডিভাইস (সিআইইডি) এবং ট্যাক্টিক্যাল কমবাট ক্যাসুয়ালেটি কেয়ার (টিসিসিসি) সংক্রান্ত বিষয়ের উপর যৌথ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। উভয় দেশের বিষয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ (এসএমই) প্রশিক্ষকদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পরিচালিত এ সকল প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অধিকতর সফল ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।