সিরিয়ার জর্ডান সীমান্তে মার্কিন সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সিরিয়া এবং ইরাকের ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টাহামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া ও ইরাক।
বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি। ইরাকে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধও করেছেন তিনি। এরপরও এমন হামলার ঘটনায় আশাহত দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন ইরাকের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহইয়া রসুল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সীমান্ত এলাকায় এমন হামলার ফলে ইরাক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরাক যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। আবারও বাগদাদ নিজেকে একই পরিস্থিতিতে দেখতে পেল। এবারও সরাসরি প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে শেষ পর্যন্ত ইরান ছাড় পেয়ে গেল কিন্তু মূল্য দিতে হল ইরাককে।
মার্কিন সেনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান ডেমোক্র্যাট জ্যাক রিড বলেছেন, সিরিয়া ও ইরাকে ইরানের ছায়া বাহিনীগুলো ওপর আঘাত হানা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের বোঝা উচিত, তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে। এসব হামলা পরিষ্কার ইঙ্গিত দেবে, যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা ও স্বার্থ সুরক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, সিরিয়ায় মরুভূমি অঞ্চলে এবং সিরিয়া-ইরাকি সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় দেশটির বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।