মিয়ানমারে যুদ্ধ বিমানের জ্বালানি সরবরাহের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর গত ২ বছর ধরে বেসামরিক লোকজনের ওপর যে বিমান হামলা চালাচ্ছে, সেই বিষয়টি আমলে নিয়েই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ থেকে দেয়া এক বিবৃতি অনুসারে, এবারের নিষেধজ্ঞায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ ব্যক্তি ও ৬টি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়। এরা সবাই জান্তাকে যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সরবরাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা শাখার আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন বলেন, ‘ক্ষমতা দখলের পর থেকে বার্মার সামরিক সরকার দেশটির জনগণকে নিপীড়ন-নির্যাতন করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের শান্তিকামী ও গণতন্ত্রপন্থী বেসামরিক জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সামরিক বাহিনীর এই নৃশংসতা রোধের জন্য যা যা করা সম্ভব যুক্তরাষ্ট্র করবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যারা জ্বালানি, অস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সরবরাহ করে আসছেন— যেকোন সময় তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বক্তব্যের জবাবে ওয়াশিংটনস্থ মিয়ানমার দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর পর থেকে দেশটিতে সঙ্কট চলছে। শুরু থেকেই সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী।