জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বালীঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওয়াজেদ আলীর বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে গিয়ে টাকা না দেওয়ায় অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রশান্ত কুমারকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্র কাঁদতে কাঁদতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেনের কাছে হাজির হন। ভুক্তভোগী ছাত্র উপজেলার বালীঘাটা ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের সুরেশ চন্দ্রের ছেলে।
প্রশান্ত কুমার জানান গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে নিজের ও তার ছোট ভাই জীবন দেবনাথের জন্ম সনদ নেওয়ার জন্য পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে। জন্ম সনদের জন্য নিজের বাবা মায়ের সনদ করতে হবে এই নিয়মে চারজনের জন্য ৬০০ টাকা নেয় ইউপি সচিব ওয়াজেদ আলী। দীর্ঘ কয়েক মাস ঘুরে নিজের ও বাবা মায়ের সনদ পেলেও ছোট ভাই জীবন দেবনাথের সনদ পাচ্ছিলেন না।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউপি কার্যালয়ে ছোট ভাইয়ের সনদ নেওয়ার জন্য বসে থাকলে পরে দেওয়া হবে বলে জানায় সচিব। পরিষদের সকল কাজ শেষে সন্ধ্যায় সনদের জন্য সচিবকে বললে সচিব জানায় আবেদন পত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
নতুন আবেদন করার জন্য আরো ২০০ টাকা দাবি করে সচিব ওয়াজেদ আলী। লেখাপড়ার পাশাপাশি সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম প্রশান্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে সচিব তাকে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় কলেজ ছাত্র প্রশান্ত প্রতিবাদ করলে সচিব ওয়াজেদ আলী তাকে কিল ঘুসি ও চড় থাপ্পড় মেরে ঘর থেকে বেড় করে দেয়। কলেজ ছাত্র প্রশান্তকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসে পরিষদের হিসাব সহকারী মানিক হোসেন।
এবিষয়ে সচিব ওয়াজেদ আলী জানান আমি মারধর করিনি একটু ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী বিপ্লব বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সচিব এই কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেন বলেন, ওই ছাত্র আমাকে জানিয়েছে তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।