চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

জবি শিক্ষককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

KSRM

রিদুয়ান ইসলাম: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক অধ্যাপককে নির্যাতন, মারধর ও হত্যার চেষ্টা ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন, মারধর, জোর করে স্বাক্ষর রাখা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

Bkash

বুধবার ৬ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভা‌গের সি‌নিয়র সহকারি স‌চিব জেসমিন প্রধান এ তথ্য নি‌শ্চিত করেছেন।

তি‌নি জানান, খুলনা জেলা প্রশাসকের সুপা‌রিশ আমলে নি‌য়ে ওই চেয়ারম‌্যানকে সাম‌য়িক বরখাস্ত ক‌রা হ‌য়েছে। গত ৫ জুন এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জা‌রি করা হয়েছে।

Reneta June

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কা‌মিল মাদ্রাসায় অধ‌্যক্ষ নিয়োগ প‌রীক্ষায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মনোনীত করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে মাদ্রাসার সভাপতি ও মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিশেষ একজন আবেদনকারীকে বেশি নম্বর প্রদানপূর্বক নিয়োগ প্রদানের জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করেন। ওই নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মত-পার্থক্যজনিত কারণে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ড. নজরুল ইসলামকে প্রহার করা হয় এবং মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে প্রায় চার ঘণ্টা জিম্মি করে রাখেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) ঘ) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, খুলনা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। এমন অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হাতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে গত ৫ মে উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় মাদরাসার সভাপতি মাহমুদ ও তার অনুসারীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মারধর করে। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেন।

বিজ্ঞাপন

পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন। ১৬ মে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত আসামিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে ১ জুন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তবে শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুরপূর্বক তাকে কারাগা‌রে পাঠা‌নোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View