কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে গ্যারেথ বেল ম্যাচের ৩৪ মিনিটে নিলেন ফ্রি কিক। ডি-বক্সের বাইরে বাঁ প্রান্ত থেকে নেয়া শট হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন আন্দ্রেই ইয়ারমোলেনকো। তবে ইউক্রেনের অধিনায়ক বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন। আর তাতেই ১-০ গোলে জিতে দীর্ঘ ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার টিকিট পেল ওয়েলস।
১৯৫৮ সালে সুইডেনে আয়োজিত বিশ্বকাপে ১৬টি দেশ অংশ নেয়। প্রথম অংশ নিয়েই ওয়েলস কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। শেষ আটে ১৭ বর্ষী পেলের গোলে ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের কাছে দলটি হারে।
বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ওয়েলস গ্রুপ ‘বি’ তে পড়েছে। গ্রুপসঙ্গী হিসেবে তারা ইরান, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে পাচ্ছে।
রোববার রাতে হওয়া ম্যাচে ওয়েলসের জয়ের মূল নায়ক গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসি। ইংলিশ ক্লাব বার্নলির ৩৫ বর্ষী এই ফুটবলার প্রতিপক্ষের ৯টি শট প্রতিহত করে জাল অক্ষত রাখেন।
ম্যাচের ৬৮ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেও গোলের দেখা পায়নি ইউক্রেন। ২২টি শট নিয়েছিল প্লে-অফের সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার আশা দেখা দলটি। লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল ৯টি শট। অপরদিকে ওয়েলস ১০টি শটের ভেতর লক্ষ্য বরাবর তিনটি রাখতে পেরেছিল।
৪০ মিনিটের মাথায় ইউক্রেন গোল শোধের সুযোগ পাওয়ার কাছাকাছি গিয়েছিল। ইয়ারমোলেঙ্কোকে ফাউল করেছিলেন জো অ্যালেন। যদিও ভিএআরে পেনাল্টির আবেদন বাতিল হয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ইউক্রেন। তবে গোলবারের নিচে হেনেসি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। এর মাঝেই ৭৫ মিনিটে গ্যারেথ বেলের বাঁ পায়ের জোরালো শট জর্জি বুশচান দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে দিলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। তবে লিড ধরে রেখে ম্যাচ শেষ করায় বিশ্বকাপে যাওয়ার উদযাপনে মাঠে ওয়েলস।
ম্যাচ শেষে সদ্য রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আসা ওয়েলস তারকা গ্যারেথ বেল বলেন, ‘ওয়েলসের ফুটবল ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ফলাফল। আমরা বিশ্বকাপে যাচ্ছি!’
‘কতটা স্বপ্ন যে ছিল। আমি এখানে আসার পর থেকে আমরা এটির (বিশ্বকাপে খেলা) নিয়ে কাজ করে গিয়েছি। এটা সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছে। শব্দগুলো এই মুহূর্তে আমরা কেমন অনুভব করছি, তা বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না।’
এখনই অবসর নিয়ে আলোচনা করতে নারাজ বেল। সম্ভাব্য অবসরের পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হবে কি না- এমন প্রশ্নে ৩২ বর্ষী ফুটবলারের জবাব, ‘সম্ভবত অল্প একটু সময়ের জন্য!’