যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র জন্য পাল্টা ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিসমূহ তুরস্কের জন্যে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করায় আঙ্কারা প্রতিশোধমূলক একই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বৃহৎ দেশসমূহ তাদের নাগরিককে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ও গণজমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেয়ার বিষয়ে তুরস্কের বিরোধিতা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে।
সম্প্রতি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম ও ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে তুরস্ক দূতাবাসের সামনে কট্টর ডানপন্থীদের পবিত্র কোরান পোড়ানোর ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ আঙ্কারা। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম ভ্রমণ সতর্ক বার্তায় ইউরোপের বিপদজনক মাত্রার ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণার কথা বলা হয়েছে। পৃথক এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বর্ণবাদ এবং সম্প্রতি বিদেশীদের ওপর মৌখিক ও শারিরীক হামলার ঘটনারও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ হামলার কারণে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন দীর্ঘদিনের সামরিক নিরপেক্ষ অবস্থান ছেড়ে ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আবেদন করে। কিন্তু ন্যাটোতে যোগ দিতে ৩০ সদস্যের সকলের অনুমোদন লাগবে। তুরস্ক ও হাঙ্গেরি একমাত্র সদস্য যারা পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে এ দুটি আবেদন অনুমোদন করেনি। হাঙ্গেরি আগামী মাসে অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোগান দেশটির আগামী ১৪ মে’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয়তাবাদী ভিত্তিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।