চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে উয়েফা।
এক বিবৃতিতে উয়েফা বলেছে, ‘কোনো ফুটবল ভক্তকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলা উচিৎ নয় এবং এমনটা আর ঘটবে না।’
‘প্যারিসে ২৮ মে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের সময় ভীতিকর এবং মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সম্মুখীন যাদের হতে হয়েছে, এ সকল দর্শকদের কাছে উয়েফা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সেদিন ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল উদযাপনের রাত হওয়া উচিৎ ছিল।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, যে সকল টিকিটধারীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিরাপত্তা কর্মীরা দিয়েছিল তাদের অবশ্যই যত দ্রুত সম্ভব সেই (অর্থ) পরিশোধ করতে হবে।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘আমি সরকারকে কী ঘটেছে তা স্পষ্ট করতে বলেছি। দায়িত্ব পালনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। আমাদের দেশবাসী, ব্রিটিশ এবং স্প্যানিশদের কাছে বিস্তারিতভাবে সব ব্যাখ্যা করতে বলেছি।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ এবং উয়েফা স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য বিলম্বে আগমন এবং জাল টিকিটকে দায়ী করেছিল। যার কারণে ম্যাচটি তিন দফা পিছিয়ে ৩৬ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল।
পুলিশ কিছু সমর্থকদের উপর কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে। এটাও জানা গেছে, স্থানীয় একটি গ্যাংয়ের সদস্যরা সমর্থকদের আক্রমণ করেছিল।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের দাবি, ফাইনালে শুধুমাত্র ইংলিশ সমর্থকরাই সমস্যা সৃষ্টি করেছিল। গত বৃহস্পতিবার লিভারপুলের প্রধান নির্বাহী বিলি হোগান ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যকে ইংলিশ সমর্থকদের জন্য ‘অসম্মানজনক’বলে অভিহিত করেছেন।
হোগান বলেন, ‘এখন একজন ফরাসি মন্ত্রীর শুধুমাত্র লিভারপুল সমর্থকরা সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলাটা স্রেফ লজ্জাজনক।’
‘আমরা আবারো উয়েফাকে চিঠি দিয়েছি এবং ১৩টি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন তুলেছি। আমরা চাই তারা এই তদন্তের বিষয়টি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুক।’
এর আগে ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামিলি উদেয়া কাস্তেরাও অভিযোগ করেছিলেন, ব্রিটিশ ক্লাব লিভারপুলের সমর্থকদের হাঙ্গামার কারণে খেলা শুরু হতে ৩৬ মিনিট দেরি হয়।
‘সেদিন যা ঘটেছে তা সর্বোপরি টিকিটহীন ও নকল টিকিটধারী ব্রিটিশ সমর্থকদের ভিড়ের জন্যই হয়েছে। যখন এতো মানুষ প্রবেশপথে থাকবে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আরও মানুষ স্তাদিও ডি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে জোর করে ঢুকতে চাইবে। আশেপাশের নির্দিষ্ট সংখ্যক যুবক ভিড়ের সঙ্গে মিশে ঢোকার চেষ্টাও করেছে তারা।’
কর্তৃপক্ষের দাবি, লিভারপুলের সমর্থকরাই হাঙ্গামা করেছে। তারা টিকিট ছাড়াই স্টেডিয়ামে ঢুকতে চেয়েছিল। সেই কারণেই বিশৃঙ্খলা এবং ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়।