এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাথিয়াস ডি লিট। বল জালে জড়ানোর আগেই লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললে গোল বাতিল হয়। ম্যাচ শেষে লাইন্সম্যান ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেও বায়ার্ন মিউনিখের সর্বনাশ ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বাভারিয়ানদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
নওসাইর মাজরাউই অফসাইডে ছিলেন, এমন দাবিতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন। এসময় রেফারি সিজাইমন মার্সিনিয়াক অফসাইডের জন্য খেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বিষয়টি কিছুতেই নামতে পারেননি বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ঝাড়তে পিছপা হননি।
‘এটা লাইন্সম্যান এবং রেফারির কাছ থেকে একটি বিপর্যয়কর সিদ্ধান্ত ছিল। এই সিদ্ধান্ত শেষপর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতার মতো মনে হয়। ম্যাচটা বিশাল বড় লড়াই ছিল, আমরা মাঠে উজাড় করে দিয়েছিলাম। এখন আমাদের রিয়াল মাদ্রিদকে অভিনন্দন জানাতে হবে।’
‘লাইন্সম্যান দুঃখিত বলেছে। রেফারিকে দেখেছেন যে আমরা দূর থেকে শট নিচ্ছি। বাঁশি বাজানোটা ভীষণ খারাপ সিদ্ধান্ত। এটি নিয়মের বিরুদ্ধে, তাদের দুজনের কাছ থেকে আসা একটি খারাপ সিদ্ধান্ত।’
খেলার যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে জোসেলুর জয়সূচক গোলের দিকে ইঙ্গিত করে গুরুতর অভিযোগ তোলেন ডি লিট। ৩৪ বর্ষী এ স্পেনিয়ার্ড যখন বল জালে জড়ান, লাইন্সম্যান তখন অফসাইডের পতাকা তোলেন। পরে অবশ্য রেফারি ভিএআরের সাহায্যে গোলের সংকেত দেন। কিন্তু ডি লিটের নিশানাভেদের সময় বায়ার্নকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি।
‘আমি মনে করি সবাই আমরা নিয়ম জানি। অফসাইডের সংকেত পরিষ্কার না হলে আপনাকে খেলতে হবে! এটাই নিয়ম! আমি এটিকে কিছুটা অপমানজনক মনে করি। জোসেলুর গোলটিও প্রায় অফসাইড ছিল এবং তারা খেলা চালিয়ে যায়। তাহলে আমাদের সাথে কেন এমনটা হয় না?’