বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার কারণে চলতি অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার খেলার সুযোগই ছিল না। টুর্নামেন্ট শুরর দুই মাসেরও কম সময় আগে ইন্দোনেশিয়ার কাছ থেকে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নেয় ফিফা। আর তাতেই আর্জেন্টিনার কপাল খুলে যায়। আকস্মিকভাবে হয়ে যায় বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরীরা করছে বাজিমাত। টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কেটেছে রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট।
‘এ’ গ্রুপে থাকা আর্জেন্টিনা নিজেদের প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে গুয়াতেমালাকে ৩-০ গোলে হারায়। এরপর নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে আলবিসেলেস্তেদের পয়েন্ট ৯। উজবেকিস্তান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে খেলবে।
ফুটবল পরাশক্তি ও টুর্নামেন্টের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের শুরুটা ভালো ছিল না। ‘ডি’ গ্রুপে থাকা সেলেসাওরা ইতালির কাছে ৩-২ গোলে হেরে বসে। দ্বিতীয় ম্যাচে ডমিনিকান রিপাবলিকের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয় পায়। তবে নাইজেরিয়ার কাছে ২-০ গোলে ইতালি হেরে যাওয়ায় জমে উঠেছে গ্রুপপর্বের লড়াই। ডমিনিকান রিপাবলিককে ২-১ গোলে হারায় নাইজেরিয়া।
আফ্রিকান সুপার ঈগলরা দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত টেবিলের শীর্ষে আছে। যদিও রাউন্ড অব সিক্সটিনে খেলা কাগজে-কলমে নিশ্চিত করতে পারেনি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ব্রাজিল। ‘ডি’ গ্রুপে নাইজেরিয়াকে হারালে ব্রাজিলের ৬ পয়েন্ট হবে। ডমিনিকান রিপাবলিকের সঙ্গে জিতলে ইতালিরও হবে ৬ পয়েন্ট। এক্ষেত্রে তিন দলের সমান ছয় পয়েন্ট হলে গোল ব্যবধানে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নির্ধারিত হবে।

তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরের রাউন্ডে উঠেছে। তাদের সঙ্গে শেষ ষোলোতে পা দিয়েছে ৬ পয়েন্ট অর্জন করা ইকুয়েডর। কলম্বিয়া ‘সি’ গ্রুপ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনে খেলা নিশ্চিত করেছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে ড্র করলেই লাতিন আমেরিকার দেশটি হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে ২৪টি দল ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। ইতিমধ্যে ‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপের সব খেলা শেষ হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি করে মোট ১২টি ও তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা চারটি দল নকআউট পর্বে যাবে। এরপর শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে ১১ জুন হবে ফাইনাল খেলা।